ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জমিদারের মর্যাদা রক্ষার হাট লেপশিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

জমিদারের মর্যাদা রক্ষার হাট লেপশিয়া

শত বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ হাটের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে খালিয়াজুরি উপজেলার লেপশিয়া হাট। সপ্তাহের প্রতি শনিবারে বসে হাওড়াঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাট। শুধু খালিয়াজুরি নয়, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকার বিভিন্ন উপজেলার ক্রেতা-বিক্রেতারাও আসে এই প্রাচীন হাটে। প্রতি হাটবারে কোটি কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। জনশ্রুতি আছে, জমিদারি আমলে এক জমিদারের নায়েব পার্শ্ববর্তী অপর আরেক জমিদারের আওতাধীন বড়ান্তর হাটে শীতল পাটি কিনতে গেলে ইজারাদার তার কাছ থেকে খাজনা আদায় করে। এতে অপমান বোধ করে নায়েব মশাই নিজ জমিদারের কাছে নালিশ করে। নালিশ শুনে ওই জমিদার তাকে বড়ান্তরের কাছেই ‘লেপশিয়া মৌজা’য় হাট বসানোর নির্দেশ দেন। পরে ওই নায়েব চাকুয়া এলাকার হিন্দু সাহা সম্প্রদায় এবং আরও কিছু গণমান্য ব্যক্তির সহায়তায় এ হাটটি প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে জমিদার পরিবারের এক সদস্যার নামানুসারে হাটের নাম রাখা হয়েছিল ‘ষোড়শীগঞ্জ’। কিন্তু পরবর্তীতে মৌজার নামানুসারে এটি ‘লেপশিয়া বাজার’ নামে পরিচিতি পায়। ধনু নদী দিয়ে সহজে মালামাল পরিবহন সুবিধার কারণে হাটটি দিনে দিনে হাওড়াঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাটে পরিণত হয়। সাম্প্রতিককালে সেখানে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। শত বছরের প্রাচীন এই হাটে এখনও কৃষিপণ্যসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য কেনাবেচা হয়। তবে বাঁশ, কাঠ, ফার্নিচার, বাঁশ-বেতের তৈরি নানা সামগ্রী ও মিঠা পানির মাছের শুঁটকির জন্য লেপশিয়া হাটের সুখ্যাতি রয়েছে। বড় বড় মহাজনরা লেপশিয়া হাট থেকে এসব পণ্য কিনে লঞ্চ, কার্গো ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে দূর-দূরান্তের মোকামে নিয়ে যায়। এদিকে শনিবার সাপ্তাহিক বড় হাট বসলেও এখন প্রতিদিনই সেখানে বাজার জমে। নিত্য বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু স্থায়ী দোকানপাট। Ñসঞ্জয় সরকার নেত্রকোনা, থেকে
×