অনলাইন ডেস্ক॥ ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অঁল্যাদ বলেছেন, প্যারিসের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেটের যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। তিনি বলেছেন, এই হামলার পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি বাইরে থেকে করা হলেও ফ্রান্সের ভেতর থেকেও সন্ত্রাসীরা সহায়তা পেয়েছে।
প্যারিসে গতরাতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা এখন ১২৮ জন বলে জানাচ্ছেন ফরাসী কর্মকর্তারা।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুই শতাধিক।
ফ্রান্সে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার প্যারিসে কার্ফ্যু জারি করা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সীমান্ত।
সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন হামলাকারী নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের একটি কনসার্ট হলে অনেককে জিম্মি করে রাখা হলে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়।
সেখানেই অন্তত ১০০জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশকে সহায়তা করতে প্যারিসে অন্তত পনেরোশ সৈনিক মোতায়েন করা হয়েছে।
শহরের কয়েকটি এলাকা এবং স্টেডিয়ামে প্রায় একই সময় ওই হামলাগুলো ঘটে।
বোমা হামলাগুলো আত্মঘাতী ছিল বলে বলা হচ্ছে।
জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল টিমের খেলা চলার সময় স্টেড দ্য ফ্রান্স নামের স্টেডিয়ামটিতে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে।
সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে।
শহরের একটি এশিয়ান রেস্তোরার সামনে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন বিবিসির একজন সংবাদদাতা।
একজন বন্দুকধারীকে আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাতে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা ছিল সংঘবদ্ধ। তবে এই হামলা সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত কিনা, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: