ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘এরা অস্ত্র চালনায় পারদর্শী’

শরণার্থীর বেশে চার হাজার আইএস জঙ্গী ইউরোপে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

শরণার্থীর বেশে চার হাজার আইএস জঙ্গী ইউরোপে

আইএস গোপনে ইউরোপে কয়েক হাজার চরমপন্থী পাঠিয়েছে। সিরিয়ায় সক্রিয় জঙ্গী গ্রুপ ইসলামিক স্টেট (আইএস বা আইসিস) নিজেরাই এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এদের অনেকে ইউরোপ ঢুকেছে নিরীহ অভিবাসীর বেশে। খবর এক্সপ্রেস অনলাইনের। আইএসের একজন পাচারকারী জানিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে চরমপন্থায় দীক্ষিত অন্তত হাজার চারেক জঙ্গী পাঠানো হয়েছে। এরা অস্ত্র চালনায় পারদর্শী। নাম গোপন রাখার শর্তে মার্কিন অনলাইন বার্তাসংস্থা বাজফিডকে আইএসের ওই পাচারকারী বলেছেন, তাদের এই মিশন সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন’...। তুরস্কের ৫৬৫ মাইল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা ইউরোপ ঢুকছে। তুর্কী সীমান্তের সব জায়গা সমানভাবে সুরক্ষিত নয়। এই সীমান্তের ফাঁক ফোকড় পুরো মাত্রায় কাজে লাগাচ্ছে আইএস। তুরস্ক সীমান্ত থেকে নৌকা পথে গ্রিস এবং তারপর শরণার্থীদের বহুল ব্যবহৃত রুটটি ব্যবহার করেই তারা পৌঁছে যাচ্ছে ইউরোপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে এখন এ রকম চার হাজারের বেশি আইএস সদস্য চষে বেড়াচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই আইএস সদস্য বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুতজাতিক বাহিনীর সামরিক হামলাগুলোর শোধ নিতেই ছদ্মবেশে আইএস কর্মীদের ইউরোপে পাঠানো হয়েছে। ‘যদি কেউ আমাকে আঘাত করে আমিও এক সময় পাল্টা আঘাত করব’ এটা নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু সিরিয়ায় নয়, পুরো পৃথিবীতে খেলাফত কায়েম করা। শরণার্থীদের প্রতি উন্নত দেশগুলোর উদার দৃষ্টিভঙ্গির সুযোগ নিয়ে আইএস ইউরোপে ঢুকে পড়ছে। কেবল তুরস্কেই এখন আছে ১৫ লাখ শরণার্থী। সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে তারা এসে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে ইজমির ও মাররসিনের মতো বড় বড় শহরগুলো হয়ে তাদের অনেকে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। আইএস গত ইরাক ও সিরিয়ার একটি বড় অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছিল। তারা এখন পশ্চিমা সরকারগুলো টার্গেট করে হামলা চালাবে, পশ্চিমা দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে নয়। পশ্চিমা অনুসারীদের প্রতি জিহাদীদের পরামর্শ হলো সুযোগ পেলে সেখানে রক্তপাত ঘটানো। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শরণার্থী বেশে যেন জঙ্গী পাচার না হয়, সে বিষয়ে তারা সজাগ আছেন। এটি বন্ধ করার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলো বৈধ চ্যানেলে সীমিতসংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করছে সেজন্য অবৈধ পথে মানব পাচারের ঘটনাগুলো ঘটছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সঙ্কট নিরসন করতে হলে এর মূল কারণ সিরিয়ায় সংঘাত বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে হবে।
×