ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রী হত্যায় উত্তাল ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

স্কুলছাত্রী হত্যায় উত্তাল ময়মনসিংহ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ স্কুলছাত্রী নাদিরা আক্তার হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ। এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রতিবাদ ও সোচ্চার মুখর নাদিরার সহপাঠীসহ ময়মনসিংহবাসী। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা জানিয়েছে, দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ প্রতিবাদ চলবে। স্থানীয় জেলা পরিষদ স্কুলের সহপাঠীসহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা হত্যাকা-ের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শনি ও রবিবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচীসহ মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে গত ৩ দিনেও শোকের মাতম কাটেনি নাদিরার পরিবার ও স্বজনদের। এসময় চুলোয় কোন আগুন জ্বলেনি। মা মাজেদাকে শনিবারও নাদিরার ব্যবহৃত জামা কাপড় ও বই-খাতা বুকে চেপে আহাজারি করতে দেখা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরের পর নাদিরার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। নাদিরাকে স্থানীয় গণশার মোড় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে নাদিরা হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হাবীবকে শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে এ হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হাবীব। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বাসায় ঢুকতে নিষেধ করায় ক্ষুব্ধ আপন ফুফাত ভাই ও স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আবেদীন তুহিনের প্রাইভেটকারচালক হাবীব গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর শহরের মাসকান্দা এলাকা থেকে নাদিরাকে কারে তুলে নেয়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে শহরের কল্পা বাইপাস মোড়ে নাদিরার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই হাবীবকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ব্যাপারে নাদিরার বাবা ইন্নছ আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হাবীবকে আসামি করে দ্রুতবিচার আইনে মামলা করে। পরে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওপর। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী ইমারত হোসেন জানান, পুলিশের কাছে হাবীব একাই এই হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হাবীবের এই জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য শনিবার ময়মনসিংহ আদালতে তোলা হয়। এ সময় ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মিথুল ইসলামের কাছে হাবীব ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে নাদিরা হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
×