ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জয়টাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ’

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

‘জয়টাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব দলের কাছেই জয়টা গুরুত্বপূর্র্ণ। বাংলাদেশের কাছেও তাই। খেলায় যত ভুলই হোক, দিন শেষে জয়টাই মাশরাফির কাছে মুখ্য। আর তাইতো বলেছেনও, ‘জয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্র্ণ।’ মাশরাফির বলা কথাগুলোর সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হল। * প্রথম টি২০তে ওলট-পালট ব্যাটিং করা প্রসঙ্গ- মাশরাফি বিন মর্তুজা ॥ অবশ্যই। আমরা ১৩০ রান তাড়া করতে গিয়ে এভাবে ব্যাটিং করতে চাইনি। স্বাভাবিক ব্যাটিং করলে জিততে পারতাম। খুব তাড়াহুড়ো করেছি। তারপরও জয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এরকম চাইনি। সামনের ম্যাচে (দ্বিতীয় টি২০তে) সুযোগ আছে। আশা করছি সবাই পরিকল্পনা করে খেলবে। * স্বাভাবিক ব্যাটিং প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ ছয় ওভারে টি২০তে মারতেই হবে। আমরা ৪৭ করে ফেলেছিলাম। তারপর আর মারা উচিত হয়নি। যেটা আমরা করেছি। * কম্বিনেশন প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ সবাইকে দেখার এটাই শেষ সুযোগ। আরাফাত সানি বাংলাদেশ দলের এখন সেরা বোলার। প্রথম ম্যাচ ছিল বলে জুবায়ের হোসেন একটু চাপে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ হলে কিছুটা রিল্যাক্স থাকত। চাপের মধ্যেই খেলোয়াড়কে দেখার সুযোগ থাকে। প্রথম ওভার কঠিন ছিল। দ্বিতীয় ওভারে সে ভালোমত কামব্যাক করেছে। সাব্বির রহমান রুম্মনকে নিয়ে আসা সাকিব আল হাসান নাই বলেই। তারপর কম্বিনেশনের একটা ব্যাপার আছে। * আগেই জয় অনুমান প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ আসলে টি২০ খেলাটাই এরকম। দুটো ওভার খেলা পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটা সময়ে ওরা বোলিংয়ের থেকে ব্যাটিংয়ে ১৫-২০ রান পিছিয়ে ছিল। তিন-চার ওভার পর দেখা গেল যে ওরা বোলিংয়ের থেকে ব্যাটিংয়ে ২০ রানে এগিয়ে যায়। এরকমই হয় টি২০তে। ওই সময়ে আমাকে রিয়াদকে আনতেই হত। যেহেতু জুবায়ের প্রথম ওভারে ১৭ রান দিয়ে দিয়েছে। আমাকে সব বোলার ব্যবহার করতেই হত। * বোলিং পরিবর্তন প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ আমি আসলে টি২০ কিংবা ওয়ানডে খেলছি সেরকম কোনো কিছু ভাবি না। আমি যখন বোলার আনি তখন পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়েই আনি। যখন তাকে ডাকব তখন ফুল ব্যাকআপ দিয়েই নিয়ে আসতে হবে। যখন বোলার আনি তখন তাকে ব্যাকআপ করি এবং নিজেও আত্মবিশ্বাসী থাকি। * নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ সাতজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছি। আটে ব্যাটিং করছি। চেষ্টা করছি যতটুকু পারছি কন্ট্রিবিউট করা। যখন আটে খেলছি তখন ১৫-২০ রান করতে হয়। এটা মাথায় আছে। ব্যাটিং নিয়ে কখনোই কাজ করিনি। জীবনে এটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়নি। যখন ইনজুরিতে পড়েছি, এরপর বোলিং নিয়েই কাজ করেছি। কামব্যাক করতে হলে বোলিং দিয়ে করতে হবে। ম্যাচ খেলতে খেলতে সঠিক জায়গায় আসতে হবে। ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। হ্যাঁ, মানসিকতার পরিবর্তন করেছি। ওভার থাকলে, নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যানকে সুযোগ দিতে হবে। কারণ আটে একজন ব্যাটসম্যানই থাকবে যখন ব্যাটিংয়ে যাবো। এতটুকুই পরিবর্তন করেছি। আমি সব সময় ফিল করি বোলিং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের থেকে। আমার কাছে মনে হয় এখন থেকেই চিন্তা করতে হবে যে, যখন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করবে তখন কিছু কন্ট্রিবিউট করবে। এভাবে চিন্তা করি। এটাই ঠিক। যখন মুস্তাফিজ কিংবা আল-আমিন আসবে তখন চিন্তা করতে পারবো না যে সে পঞ্চাশ করবে। দলের প্রয়োজনে সে পাঁচ-সাত রান কন্ট্রিবিউট করুক। এটাই হয়ত সে পরে ম্যাচ জিততে কাজে দিবে। * বোলারদের কাজ প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ এই মুহূর্তে যারা নিচে নয় দশে ব্যাটিং করবে আমি চাইব তারা বোলার হিসেবে দলকে জেতাবে। এটাই তাদের প্রথম কাজ। বোলিংটাই তাদের মূল কাজ। কিছু খেলোয়াড় এখন ইনজুরিতে আছে। তারা আসলে কম্বিনেশন আরও দৃঢ় হবে। সবাইকে দেখার একটা সুযোগ আছে বলে দেখছি। * জুবায়ের প্রসঙ্গÑ মাশরাফি ॥ আমি যদি আমার মূল বোলারকে বোলিং না দেই তাহলে কিন্তু ওকে নেয়ার কোন মানে নেই। ও যেটাই করুক সেটা ওর জন্যে অনুশীলন। আমি আগেও বলেছি ওকে বোলিংয়ে দেয়ার সময় পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে দিয়েছি। ও যেটাই করুক আমাকে মেনে নিতে হবে। সে ভাল বল করেছে লাকিলি। ওইটাই আমার ভাবনায় ছিল। ও যে এতদিন খেলেনি সেটা চিন্তা করে কিন্তু ওকে ১৪ জনের দলে নেয়া হয়নি। একজন খেলোয়াড় যখন ম্যাচ খেলতে নামছে তখন তাকে নিয়ে চাপ অনুভব করে বোলিং করানো কঠিন। আমি এতটুকু চিন্তা করেছি যে ও আমার মূল বোলার। সাথে সাব্বির ও রিয়াদ ছিল অপশনাল। তারা কিছু করতে পারত। ওকে মূল বোলার হিসেবে খেলানো হয়েছে মূল বোলার খারাপ করুক ভাল করুক তাকে খেলাতেই হবে।
×