ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

ভালুকায় বানিজ্যিক ভাবে  মালটা চাষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা ময়মনসিংহ ॥ ছোট বেলা থেকেই গাছ-পালার প্রতি আমার ভালবাসা। আর সে কারণেই প্রায় ৬ বছর আগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ‘কাশবন নার্সারি’ থেকে চার হাজার টাকায় একটি মালটার চারা কিনে এনে আমার বাউকুল বাগানে রোপণ করি। এক বছর পর ওই চারা গাছে ৫-৬টি মালটা ধরে। আর তা থেকেই মালটা চাষ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে । একটি চারা থেকেই কলম পদ্ধতিতে মালটার চারা উৎপাদন শুরু করি। প্রথম বছর প্রায় পঞ্চাশটি চারা বাউকূল বাগানে রোপণ করি। পরে নিজেই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাণিজ্যিকভাবে মালটা চাষের সিদ্ধান্ত নেই।’ কথাগুলো মালটা চাষী মনমথ সরকারের। ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ শুরু করেন । আজ রবিবার সকালে মনমথ সরকার জানান, তার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন গ্রামে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি -২ এর কারিগরি পরামর্শ বিভাগের স্টেকিং প্রকৌশলী হিসাবে ভালুকাতে প্রায় ২১বছর চাকরি করা হয়েছে তার। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের মাটি ও মানুষের সাথে একটি নীবির সখ্যতা গড়ে উঠে । পরবর্তীতে ১০বছর মেয়াদে উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে ২০০৭ সালে জমি ভাড়ায় নিয়ে প্রথমে বাউকূল এবং সাথে আম, লিচুসহ নানান জাতের ফলের চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৯সালে বাণিজ্যিকভাবে মালটার চাষ শুরু করে। উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে মনমথ সরকারের মালটা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ৮০শতাংশ জমিতে গড়ে তুলা হয়েছে ওই বাগান। বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলছে সুপুষ্টু মালটা। ওই বাগানের মালটা যথেষ্ট মিষ্টি এবং স্থানীয় বাজারে রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। এবছর ৪(চার) হাজার টাকা মন দরে দুই লাখ টাকার মালটা বিক্রি করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান জানান, মনমথ সরকারের মালটা বাগানটি তিনি একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। সুনিস্কাশিত, উচুঁ, হালকা দোআঁশ ও অম্ল ভাবাপন্ন মাটি মালটা চাষের উপযোগী। সে হিসাবে ভালুকার শতকরা ৪০% ভাগ এলাকার মাটিই মালটা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযুগী এবং এখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালটা চাষে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
×