সংসদ রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করে উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) বিলসহ রবিবার জাতীয় সংসদে মোট দুটি বিল পাস হয়েছে। পাসকৃত অপর বিলটি হচ্ছে বাংলাদেশ কয়েনেজ (এ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৫। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিল দুটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সারচার্জ ও লেভি বিলে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে যে বিল নিচ্ছে তার সঙ্গে ১ শতাংশ সারচার্জ যোগ হবে। সরকার মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছ থেকে এই সারচার্জ আদায় করবে। মোবাইল ফোনে যত ধরনের সেবা রয়েছে তার সবগুলোর ওপরই এই সারচার্জ প্রযোজ্য হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ সালের বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সারচার্জ আরোপের কথা বলেছিলেন। এ থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে তা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে অভিমত দিয়েছিলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হলে তা কারও জন্য অধিক করভার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এ থেকে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে।
বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব জানিয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, বিলটি আজ আইনে পরিণত হচ্ছে অথচ আগে থেকেই মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। এতদিনে অপারেটররা কত টাকা সারচার্জ হিসেবে আদায় করেছে তা জানা নেই কিংবা ওই টাকা তারা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে কিনা, তাও জানা নেই। স্বতন্ত্র এমপি হাজী মোঃ সেলিম বলেন, নতুন করে সারচার্জ আদায় করা হলে এর প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের ওপর। এতে কোম্পানিগুলোর কিছু যায় আসে না। কোম্পানিগুলো হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা বিদেশে পাচার করছে।
৫ টাকার কয়েন সরকারী মুদ্রায় রূপান্তর ॥ এদিকে সংসদে ১ ও ২ টাকার মুদ্রার সঙ্গে ৫ টাকার মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব সরকারের হাতে দিতে বিল পাস করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘বাংলাদেশ কয়েনেজ (এ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৫’ পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। এ নিয়ে কয়েক এমপি বিলটি যাচাই-বাছাই ও সংশোদনের দাবি জানালে কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়। বর্তমানে শুধু ১ ও ২ টাকার মুদ্রা সরকার বের করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: