ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদের ধন্যবাদ

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদের ধন্যবাদ

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেছেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক শত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অপশক্তিরা সেই অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে নতুন চক্রান্তে নেমেছেন। খালেদা জিয়ার পায়ের নিচে মাটি না থাকায় বিদেশে পালিয়ে গিয়ে পুত্রকে নিয়ে দেশধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত। চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ এবং আইসিটি টেকসই উন্নয়নে পুরস্কার অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় রবিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রাত সাড়ে দশটায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্পীকার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসের পর সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে ধন্যবাদ প্রস্তাবটির ওপর প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট তারানা হালিম, সরকারী দলের অধ্যাপক আলী আশরাফ, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডাঃ দীপু মনি, আবদুল মতিন খসরু, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকজ, আবুল কালাম আজাদ, সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, তাজুল ইসলাম, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মনিরুল ইসলাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, সাবিনা আক্তার তুহিন, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফারাজী এবং জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফখরুল ইমাম। আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুটি বিরল পুরস্কার অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু এ দুটি বিষয়েই নয়, জাতিসংঘে যদি পরিবেশ ও নারীর অগ্রাধিকার বিষয়ে কোন পুরস্কার থাকত- সেগুলোও বিশ্বের মধ্যে একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পেত। কারণ তিনি বাংলাদেশকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা শুধু এ অঞ্চলের নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ব দরবারে তিনি একজন নন্দিত নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক বিশ্বে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু যুদ্ধে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ কীভাবে টিকে আছে, সেটি দেখতে আজ গোটা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা আসছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে কোন আইএস নেই, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে আইএস আছে। জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আজকে পৃথিবীতে যে ক’টি সমস্যা সবচেয়ে আলোচিত হয় তার মধ্যে পরিবেশগত সমস্যা অন্যতম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে যে পুরস্কার ও প্রশংসা দেয়া হয়েছে, তার জন্য আমরা সকলে গর্বিত। জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, যারা দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আরও কিছু সময় দেয়া প্রয়োজন। জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ফ্রান্সে হামলার পর পৃথিবী পাল্টে গেছে। পুরো যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আজ কাঁদছে, তারা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করতে পারছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সন্ত্রাসবাদ দমন করে বিপদসঙ্কুল নদীতে নৌকা চালিয়ে যাচ্ছেন।
×