চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫Ñ১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বি-১ ইউনিটের ফলাফল অবশেষে পুনর্মূল্যায়িত হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুনর্মূল্যায়িত ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত গত ১৪ নবেম্বর জনকণ্ঠে ‘চবিতে বি-১ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসঙ্গতির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরই ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, চবিতে বি-১ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সেট-৩ এ অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে প্রশ্নপত্রে সাধারণ জ্ঞান অংশে ১৩ নম্বর প্রশ্নে ‘এ’ এবং ‘বি’ তে একই অপশন দু’বার আসে। এছাড়া ১৩ নম্বর প্রশ্নের পর ১৮ নম্বর ক্রমিক লেখা হয়। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি এসব অনাকাক্সিক্ষত ভুল পরীক্ষার হলেই ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিÑ উত্তরপত্র মূল্যায়নে এসব ভুল ঠিক করে দেয়া হয়নি। এ কারণে শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ১০Ñ১৫ নম্বর পর্যন্ত কম পেয়েছেন। এ কারণে ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ গত বুধবার প্রক্টর অফিসে লিখিত আবেদন করেন। শনিবার জনকণ্ঠে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর রবিবার শিক্ষার্থীরা ফের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন বরাবর আবেদন করেন। এ সময় ওই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের আশ্বাস দেন। এরপরই সোমবার ফলাফল পুনর্মূল্যায়িত করে তা পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
চকরিয়ায় গাছ ও মাটি কাটার মহোৎসব
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অদূরে পাহাড় থেকে মাদার ট্রি গর্জন গাছ ও মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র দিব্যি এ অপতৎপরতা অব্যাহত রাখলেও বনবিভাগের লোকজন এতে রহস্যজনক ভূমিকায় রয়েছে। এতে সাফারি পার্কসহ আশপাশ এলাকার বৃক্ষ সমৃদ্ধ সরকারী বনাঞ্চল উজাড় হতে চলছে।
জানা গেছে, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে মালুম্যা অংশে রয়েছে সাফারি পার্কের বাউন্ডারি দেয়ালের বাইরে একটি বিশাল টিলা জায়গা। ওই জায়গার বুকচিরে চলেছে বগাইছড়ির ছড়া। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে জানান, সাফারি পার্কের ওই এলাকার পাহাড়ে হানা দিয়ে প্রায় প্রতিদিন লামা ফাঁসিয়াখালীর মালুম্যা গ্রামের আরেফ আলীর পুত্র শাহজাহানের একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারী বনাঞ্চলের মাদার ট্রি গর্জন ও পাহাড় কেটে ট্রাকে করে লুটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি। এসব মাটি স্থানীয় বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে তারা হাজার হাজার টাকা। স্থানীয়দের দাবি, পাহাড় কেটে মাটি লুটে নেয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তরা এখন বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বনবিভাগ রহস্যজনক কারণে দেখেও দেখে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: