ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাজে আসছে না আবেনোমিক্স

পঞ্চমবারের মতো মন্দায় জাপানের অর্থনীতি

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

পঞ্চমবারের মতো মন্দায় জাপানের অর্থনীতি

শিনজো আবে প্রায় তিন বছর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো মন্দাবস্থা অর্থবছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও অব্যাহত থাকে। এ নিয়ে দেশটির অর্থনীতি গত সাত বছরের মতো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাল। এর মধ্যে টানা পাঁচ বছর ঘটনাটি ঘটে নিয়মিতভাবে। অর্থনীতিবিদরা একে অভিহিত করছেন ‘কোয়ান্টিপল ডিপ’ হিসেবে। ২০০৮ সালে যা শুরু হয়েছে। অথচ অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন আবে। জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সমৃদ্ধশালী দেশ। সোমবার প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অর্থনীতি জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে দেশটির অর্থনীতি ০.৮ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হয়েছে। ঠিক আগের কোয়ার্টারে যা ছিল ০.৭ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে অর্থনীতি যে হারে সঙ্কুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তার চেয়েও ০.২ শতাংশ বেশি হারে এটি হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোমবার নিক্কেই শেয়ার গড় সূচক অনেক পড়ে যায়। অনেকে মনে করেন, প্যারিস হামলার প্রতিক্রিয়ায় সূচক পড়ে যেতে পারে। কারণ ওই ঘটনা বিনিয়োগকারীদেরও আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। তবে ঘটনা যাই হোক, জাপানের অর্থনীতি যে অনেক দিন ধরেই গতি পাচ্ছে না, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কোন কোন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকের মতো জাপানী কোম্পানিগুলো যদি তাদের বিশাল অঙ্কের মুনাফা থেকে স্টাফদের বেতন বাড়িয়ে দেয় তবে চলতি কোয়ার্টারে মন্দা থাকলেও অর্থনীতি কিছুটা উর্ধমুখী হবে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে আবে’র ফর্মুলা যা ‘আবেনোমিক্স’ নামে পরিচিত, তা দিয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি। অর্থনীতির এই ভয়াবহ চিত্র এখন রাজনীতিক ও নীতিনির্ধারক মহলে সম্পূরক বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে মন্দাবস্থা বলতে যা বোঝায় জাপানের অর্থনীতিতে এখন সে অবস্থাই বিরাজ করছে। ভোক্তা ব্যয় যা মোট অর্থনীতির ৬০ শতাংশ, সেটি আগের কোয়ার্টারের তুলনায় বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। কিন্তু মূলধন জাতীয় ব্যয় কমেছে ১.৩ শতাংশ। এটি যতটুকু কমবে ধারণা করা হয়েছিল কমেছে তার চেয়েও বেশি হারে। জিডিপি বেড়েছে ০.১ শতাংশ। সার্বিক অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে ০.৩ শতাংশ। সোমবার প্রকাশিত সরকারী উপাত্ত জাপানের অনেক ব্যাংক কর্মকর্তাকেই সামান্য বিস্মিত করবে। কারণ মন্দাবস্থার তৈরির ব্যাপারে তাদের অনুসরণ করা নীতির বিশেষ অবদান রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক অব জাপান নিজস্ব মুদ্রানীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে বলে তারা মনে করেন না। -গার্ডিয়ান।
×