ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাসানির মাজারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র একাধিক গ্রুপের মারামারি

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

ভাসানির মাজারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র একাধিক গ্রুপের মারামারি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল॥ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির মাজারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র একাধিক গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে উপস্থিত পুলিশ ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে করে বিএনপির ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। চরম অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে ভাসানীর মৃত্যুর পর ৩৯ বছর পর এবারই প্রথম মঙ্গলবার তার মুত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে কোন স্মরণ সভার আয়োজন করতে পারেনি তার আদর্শের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলীয় কোন্দল এতোটাই প্রকট হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই একাধিক গ্রুপের মারামারি থামাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। ভাসানির মাজারে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করে ঢাকা ফিরে গেছেন। জানা গেছে, মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর স্মরণসভার আয়োজন করে টাঙ্গাইল শহর বিএনপি। কিন্তু অনেকদিন থেকেই শহর বিএনপি’র দু’টি গ্রুপ ছাড়াও জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর একাধিক গ্রুপ বিদ্যমান রয়েছে। জেলা বা কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রুপগুলো এক করতে বা দলীয় কোন্দল বন্ধ করতে পারেনি। কোন্দল থামাতে না পেরে অবশেষে স্মরণ সভা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই একাধিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা ভাসানির মাজার প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলার সভাপতি এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা মাজার প্রাঙ্গণে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য। সকাল সোয়া ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা এসে উপস্থিত হন। এদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। সবাই মিলে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়ার সময় একাধিক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের পুষ্পস্তবক ভেঙ্গে ফেলে। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি ও কিলঘুষি মারে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ দ্রুত মাজারের ভেতরে চলে যান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপস্থিত পুলিশ লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
×