ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টেকসই উন্নয়নে দুর্নীতি প্রতিরোধের দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

টেকসই উন্নয়নে দুর্নীতি প্রতিরোধের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র। স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে সংলাপে এ দাবি করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্র’র চেয়ারপার্সন আহমেদ স্বপন মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে ধারণাপত্র পাঠ করেন সুপ্র’র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ। সম্মেলনে বক্তারা স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য- ২০৩০ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আশা ও আকাক্সক্ষার যথেষ্ট প্রতিফলন ঘটে। এখন প্রয়োজন সব চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করার কৌশল নির্ধারণ ও যথাযথ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। পাশাপাশি এ দুটি বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের উপরও গুরুত্বারোপ করে। সুপ্র মনে করে, ‘এমডিজি’ ছিল সামাজিক খাতের উন্নয়ন এবং দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে। পক্ষান্তরে ‘এসডিজি’ হচ্ছে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ বিষয়ক সব বিষয়ের সমন্বিত রূপকল্প। যার মাধ্যমে সব মানুষের উন্নত জীবন ধারণের অধিকার স্বীকার করে নেয়ার পাশাপাশি ধনী-দরিদ্র এবং সব দেশের জন্য করণীয় ঠিক করে দেয়া হয়েছে। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন সুপ্র’র ভাইস চেয়ারপার্সন হোসনে আরা হাসি, নির্বাহী বোর্ড সদস্য কেজীএম ফারুক, জাতীয় পরিষদ সদস্য এ এইচ এম শামসুল ইসলাম দিপু, মঞ্জু রানী প্রামাণিক, মতিউর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সুপ্র সচিবালয়ের কর্মীবৃন্দ। বক্তারা বলেন যে, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং দায়িত্বশীলতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে, যা নীতি-নির্ধারণী কাঠামোর মধ্যে সবার সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে। অতি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অবকাঠামোর উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যেসব বিষয় প্রতিফলিত করেছে সেসব বিষয় অর্জন করা সম্ভব হলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং পরিবর্তিত পৃথিবীর স্বপ্ন পূরণে অংশীদার হবে।
×