ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনা আ’লীগের সম্মেলন অনিশ্চিত ॥ আজ বৈঠক

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

নেত্রকোনা আ’লীগের সম্মেলন অনিশ্চিত ॥ আজ বৈঠক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৭ নবেম্বর ॥ ইউনিয়ন সম্মেলন প-সহ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উদ্ভুদ পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের নির্দেশে ঢাকায় বৈঠকে ডাকা হয়েছে নেত্রকোনার স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। বুধবার সন্ধ্যায় ধানম-ি-৩ এ দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বৈঠক আহ্বানের বিষয়টি মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৩০ নবেম্বর (সম্ভাব্য তারিখ) জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় কিছুদিন ধরে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন চলছিল। কিন্তু গত রবিবার (১৫ নবেম্বর) উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের নিজ ইউনিয়ন সদর উপজেলার কালিয়ারা-গাবরাগাতির সম্মেলনে হাতাহাতি, টেবিল চাপড়ানিসহ চরম হট্টগোল ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেখানকার সম্মেলন প- হয়ে যায়। ঘটনার পর ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী এবং ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন অভিযোগ তোলেন, এ সময় মঞ্চে উপস্থিত উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় তার গায়ে হাত তুলেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন উপমন্ত্রীর মামা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জিএম খান পাঠান বিমল। তিনিও বলছেন, তার সামনেই জয়সহ তার লোকজন আমজাদ হোসেন ও সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল জলিলের গায়ে হাত তুলেছে। তবে জয় অবশ্য হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন- ‘এসব তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার’। জানা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটি ও কাউন্সিলরের তালিকাকে কেন্দ্র করে প্রথমে জয়ের বড় ভাই জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠুর সঙ্গে জয়ের মামা সদর উপজেলা কমিটির সম্পাদক এ্যাডভোকেট জিএম খান পাঠান বিমল ও আমজাদ হোসেনের তর্ক-বিতর্ক হয়। আর এর পরপরই ঘটে বাকি ঘটনা। ইউনিয়ন সম্মেলনে দু’পক্ষের সমর্থনও ছিল পৃথক পৃথক প্রার্থীর ওপর। এ্যাডভোকেট জিএম খান পাঠান বিমল জনকণ্ঠকে বলেন, কালিয়ারা-গাবরাগাতির সম্মেলনে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা নষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই এ মুহূর্তে জেলা সম্মেলন করা সম্ভব নয়। এসব বিষয় কেন্দ্রের বৈঠকে তুলে ধরবেন বলেও জানান ওই নেতা। এদিকে সম্মেলনে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির সত্যতা স্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মুঠোফোনে রিং করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, আজকের বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি (নেত্রকোনা-২), ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এমপিসহ (নেত্রকোনা-৩) জেলা ও সদর এবং কেন্দুয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকদের ডাকা হয়েছে। তিনি ছাড়াও কেন্দ্রের আরও কয়েক নেতা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। পরীক্ষায় জালিয়াতি ॥ ইবি ছাত্রীর দ- ইবি সংবাদদাতা ॥ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতের অভিযোগে এক ছাত্রীকে দুই বছরের করাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর দিকে তাকে সহায়তাকারী সজল ও সাজ্জাদ হোসেন সাজুকে এখনও গ্রেফতার কারা যায়নি। জানা যায়, সোমবার মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে নাহিদ সুলতানা নামের এক ছাত্রীকে মোবাইল ও ই-ডিভাইস সরবরাহ করে বাংলা বিভাগের সজল কুমার দাশ নামের এক কর্মচারী। ওই শিক্ষার্থীকে এক লাখ টাকা অনাদায়ে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত ৯টায় প্রক্টর অফিস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে জালিয়াতির মূল হোতা বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাজ্জাদ আহমেদ সাজু ও সহায়তাকারী সজল এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে সহায়তাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
×