ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবল বাংলাদেশ ০-৪ অস্ট্রেলিয়া

হ্যাটট্রিক-কাহিলেই কাত বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

হ্যাটট্রিক-কাহিলেই কাত বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ খেলার ফল কেমন হবে বা কার অনুকূলে যাবে, সেটা অনুমিতই ছিল। হয়েছেও তাই। ‘সকারু’ খ্যাত অস্ট্রেলিয়াই জিতেছে। সেটা ৪-০ গোলে (বিজয়ী দল প্রথমার্ধেই সবগুলো গোল করে)। স্বাগতিক বাংলাদেশকে এই খেলায় হারানোর পথে যিনি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন তিনি হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রখ্যাত ফরোয়ার্ড টিম কাহিল। এক কাহিলেই ‘কাহিল’ হলো বাংলাদেশ! হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়া জোনের ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। অস্ট্রেলিয়া (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৬০) চারবার খেলেছে বিশ্বকাপের মূলপর্বে। তাদের সঙ্গে কোন তুলনায় চলে না বাংলাদেশের (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৮০)। মঙ্গলবারের ম্যাচেও সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল সকারুরাই (৬৫ শতাংশ)। আক্রমণও বেশি করে তারাই। সেগুলোর কয়েকটি কাজে লাগিয়ে আদায়ও করে নেয় হালিখানেক গোল। তবে তাদের গোলগুলোর বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশী ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে পাওয়া। গত ৩ সেপ্টেম্বর এ্যাওয়ে ম্যাচে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ গোলে ধরাশায়ী হয়েছিল বাংলাদেশ। তখন এই দুই দলের র‌্যাঙ্কিং ছিল যথাক্রমে ৬১ ও ১৭০। দুই মাস পর দেখা যাচ্ছে সকারুরা যেন র‌্যাঙ্কিংয়ে একধাপ উন্নতি করেছে, তেমনি গ্রুপেও শীর্ষ দল হিসেবে উঠে গেছে (একইদিন কিরগিজিস্তান-জর্দান ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্ত)। ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হারে ১৫ পয়েন্ট তাদের। পক্ষান্তরে ৭ ম্যাচে ৫ হার ও ১ ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ দলের মধ্যে তলানিতেই আছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে মঙ্গলবার বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ছিল এটি। বাংলাদেশের অষ্টম ও শেষ ম্যাচ জর্দানের মাটিতে জর্দানের বিরুদ্ধে আগামী বছরের ২৪ মার্চ। ৬ মিনিটে অস্ট্রেলীয় মিডফিল্ডার এ্যারন মুইয়ের ফ্রি কিক বক্সে হেড করে গোল করেন কাহিল (১-০)। ৩২ মিনিটে বক্সে মুইয়ের ক্রস বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে জালে পাঠাতে চেষ্টা করেন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা চেষ্টার ত্রুটি করেননি। টিম কাহিল শট নিলে তপু বর্মণ প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও বল ঢুকে যায় বাংলাদেশের জালে (২-০)। ৩৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে পাস দেন মুই। বক্সে বল রিসিভ করে বল জালে পাঠান আবারও কাহিল (৩-০)। ৪২ মিনিটে মুইয়ের ফ্রি কিকে হেড দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিডফিল্ডার মাইল জেডিনাক (৪-০)। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ বেশ ভাল খেলে। আর কোন গোলও হজম করেনি তারা। এমনকি পাল্টা কিছু আক্রমণও করে। কিন্তু ফিনিশারের অভাবে গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধানেই খেলা শেষ হলে মাঠ ছাড়ে দুই দল। হারলেও বাংলাদেশ দলের খেলা প্রশংসিত হয় দর্শকদের কাছে। মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকরা করতালি দিয়েই অভিনন্দন জানান মামুনুলদের। খেলা শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সম্প্রতি ফ্রান্সে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের স্মরণে।
×