ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত যাচ্ছে থিয়েটার আর্ট ইউনিট ‘না-মানুষি জমিন’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

ভারত যাচ্ছে থিয়েটার আর্ট ইউনিট ‘না-মানুষি জমিন’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় ভারত বাংলাদেশ একে অপরের নাট্য উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় দলের ১৮তম প্রযোজনা ‘না-মানুষি জমিন’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী করতে ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটার আর্ট ইউনিট। ভারতের রঙ্গাশ্রমের ষষ্ঠ রঙ্গাশ্রম সমারোহ এবং সৌপ্তিক নাট্য সংস্থার আমন্ত্রণ পেয়েছে দলটি। জানা গেছে ‘না-মানুষি জমিন’ প্রযোজনাটি ২১ নবেম্বর শনিবার নবেম্বর মুর্শিদাবাদের রবীন্দ্রসদন মঞ্চ এবং পরদিন ২২ নবেম্বর কল্যাণীতে ঋত্বিক সদন মঞ্চে সৌপ্তিক নাট্য সংস্থার উদ্যোগে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। আনিসুল হকের উপন্যাস থেকে ‘না-মানুষি জমিন’ নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফ সুমন। আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, পোশাক পরিকল্পনায় রোকেয়া রফিক বেবী, সঙ্গীত পরিকল্পনায় রয়েছেন সেলিম মাহবুব। নাটকটির অভিনয়শিল্পীরা হলেন- প্রশান্ত হালদার, সুজন রেজাউল, হাসনাত প্রদীপ, রিয়াজ হোসেন, সৈয়দ অলক, শাহনাজ শানু, তানিয়া চৌধুরী শিল্পী, সুমন মজুমদার, আকিব বাবু, নুরুজ্জামান বাবু, মাহফুজ সুমন, রুবেল অরভিল, জায়েদ হোসেন, আসিফ মামুর, সজিব আহমেদ, এসআর সম্পদ, সজল চৌধুরী, পিয়ার মোহাম্মদ, মোকাদ্দেম মোরশেদ, প্রপা হালদার, অনিক। সীমান্ত নিয়ে রচিত নাটকটিতে দেখা যায়- একদল নারী-পুরুষ আর শিশুকে ধরে আনা হয়েছে সীমান্তে। সীমান্তরক্ষীরা তাদের মাঝরাতে ঠেলে দিলো নো-ম্যান’স ল্যান্ড বা না-মানুষি জমিনে। কিন্তু অন্য পাড়ের রক্ষীরাও কাউকে ঢুকতে দেবে না। প্রচ- শীতে আর কুয়াশার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে একদল মানবসন্তান। তাদের মধ্যে একজন নারী গর্ভবতী। কুয়াশার চাদরের নিচে একটি সন্তান প্রসব করে মা মারা যায়। তার সঙ্গীরা ততক্ষণে হারিয়ে গেছে ঘন কুয়াশার আড়ালে। নো-ম্যান’স ল্যান্ডে পড়ে থাকে শুধু এক মানবশিশু। এপার বা ওপার কেউই তার দায়িত্ব নেবে না। কী তার দেশ? কী তার পরিচয়? এ নিয়েই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী। জানা গেছে ইন্ডিয়ান সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আগামীকাল ২০ নবেম্বর শুরু হয়ে নাট্যোৎসবটি চলবে ২৫ নবেম্বর পর্যন্ত। ষষ্ঠবারের মতো এর আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে আরও পাঁচটি নাটক থাকছে। অন্য সবই কলকাতার। এগুলো হলো রঙ্গাশ্রম বহরামপুরের প্রযোজনা ‘মনিদীপা’, রবীন্দ্রভারতী রেপার্টরীর ‘ফাগুন রাতে গপ্পো’, রঙ্গিলার ‘নাটক ফাটক’, কালিয়াগঞ্জের বিচিত্রার ‘গনেশগাঁথা’ এবং যশপাল শর্মা অভিনীত মুম্বাই থিয়েটারওয়ালার প্রযোজনা ‘কোই বাত চলে’।
×