ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাভারে ফের অবৈধ গ্যাস সংযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

সাভারে ফের অবৈধ গ্যাস সংযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ১৮ নবেম্বর ॥ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার নতুন করে শুরু হয়েছে গ্যাস সংযোগ। তাই গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য মানুষ মরিয়া হয়ে ছুটে চলছে গ্যাস বিতরণকারী স্থানীয় দালালচক্রের কাছে। আর এ সুযোগে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় দালালচক্র। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় স্থানীয় দালাল ও ঠিকাদারদের মাধ্যমে রাতভর বাসা-বাড়িতে অবৈধ এ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাভারের তিতাস গ্যাস কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় ঠিকাদাররা স্থানীয় দালালচক্রের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাতারাতি গ্যাস সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে পৌরসভা ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অনুমতি ছাড়াই পাকা সড়ক কেটে ওই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে। উপজেলার উলাইল, কর্ণপাড়া, ব্যাংক টাউন, কালিনগর, নামা গেন্ডা, তেঁতুলঝোড়াসহ অন্তত ২০টি এলাকায় দু’ শতাধিক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। সাভার তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও স্থানীয় দালালচক্র একদিনের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি বাড়ি থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। যারা বেশি টাকা দিচ্ছে, তাদের বাড়িতেই আগে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এভাবেই চোরাই গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংযোগ প্রদানকারীরা। এ বিষয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়া বাড়ির মালিকরা বলেন, আমাদের গ্যাসের দরকার, গ্যাস পেয়েছি। ওই গ্যাস বৈধ না অবৈধ- তা জানার দরকার নেই। তবে, যখন বৈধ করার দরকার হবে, তখন বৈধ করে দিবে ঠিকাদাররা। উলাইল কর্ণপাড়া এলাকার হাফিজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মদদে তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও স্থানীয় দালালচক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজেরাই মূল গ্যাস লাইন ছিদ্র করে বাসা-বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে। সাভার তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ডিজিএম আতিকুর রহমান বলেন, সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি চক্র অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু, জনবল কম থাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাচ্ছে না। শীঘ্রই অবৈধ ওই গ্যাস সংযোগ প্রদানকারী ও বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, অবৈধ ওই গ্যাস সংযোগের সঙ্গে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহার দাবিতে স্মারকলিপি স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, খুলনাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বাংলাদেশের অন্যান্য যে কোন মহানগরীর চেয়ে মন্দা। কিন্তু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কারও সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর অস্বাভাবিকহারে ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করে বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন। সর্বনিম্ন হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি নেয়ার সুযোগ থাকলেও সিটি কর্পোরেশন সর্বোচ্চ হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি গ্রহণ করে খুলনার ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে।
×