ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

থানায় নির্যাতন করে হত্যা

পল্লবী থানার দুই দারোগা কারাগারে

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

পল্লবী থানার দুই দারোগা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থানায় নিয়ে নির্যাতন করে জনিকে হত্যা মামলায় পল্লবী থানার দুই দারোগা রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে বুধবার দুই পুলিশ কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পল্লাবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। জনি ও তার ভাই সুমনকে বুঝিয়ে চলে যেতে বলে। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পুলিশকে ফোন করে তাদের ধরিয়ে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ এসআই শোভন কুমার শাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।
×