ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টিটাই বাঁচিয়ে দিল এবিদের –সৌরভ

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

বৃষ্টিটাই বাঁচিয়ে দিল এবিদের –সৌরভ

অনলাইন ডেস্ক ॥ বেঙ্গালুরু আর দেশের দক্ষিণ দিকে যখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, তখন ব্যক্তিগত সূচি থেকে সময় বের করে একটু ক্রিকেট খেলে নিলাম। এত দিন পরে খেলা, তা-ও আবার যুক্তরাষ্ট্রে। দারুণ অভিজ্ঞতা! যে দুটো মাঠে আমি নিজে খেলেছি, সেগুলো দুর্দান্ত! সিরিজটার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ক্রিকেটাররা হয়তো আসবে-যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর চ্যাম্পিয়নদের পক্ষেও ফর্ম আর ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। তবে অবসরের দু’তিন বছর পরেও ভক্তদের ভাল ক্রিকেট দেখার ব্যবস্থা তো করাই যায়। অকল্যান্ডের কিউরেটররা দুর্দান্ত ড্রপ-ইন উইকেট তৈরি করেছিলেন। সচিন-পন্টিংদের ভাল ব্যাট করতে দেখে দারুণ লাগল। ওয়ার্ন, ভেত্তোরি আর সোয়ান এখনও প্রচণ্ড লড়াকু। এদের মধ্যে সেরা কিন্তু ভেত্তোরি। এত দিন পরে ব্যাট হাতে তুলে ভীষণ আনন্দ পেলাম। পরের মরসুমের জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু করে দিয়েছি। বেঙ্গালুরু টেস্টের কথায় আসি। ভীষণ ভাবে মনে হচ্ছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা অল্পের জন্য বেঁচে গেল। টেস্ট সিরিজে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল। ওদের ব্যাটিং ভারতীয় স্পিন আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না। কয়েকজনকে বাদ দিলে স্পিনিং পিচে ওদের ব্যাটিং একদম অনভিজ্ঞ। ওদের যেটা সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে সেটা হল ফাফ আর আমলার ছন্দে না থাকা। পুরো দায়িত্বটাই এবির ঘাড়ে গিয়ে পড়েছে। তবে কঠিন পিচে রান করার রাস্তা বের করে ফেলেছে সুপারম্যান। প্রথম টেস্টের সময় কাকে যেন বলতে শুনছিলাম, ক্রিজে এবিকে দেখে মনে হচ্ছে গরম টিনের ছাদে একটা বেড়াল লাফালাফি করছে। বিষাক্ত টার্নারে ওর ব্যাটিং দেখে বুঝলাম বেঙ্গালুরু বা মোহালির পিচে বেঁচে থাকার ওটাই একমাত্র রাস্তা। সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতাটাই ওকে সব পিচে গ্রেট করে তুলেছে। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি শিখর ধবনের রানে ফেরা। মোহালির ব্যর্থতার পর ওর বিরুদ্ধে একটু বেশি কঠোর সমালোচনা হয়েছিল। বিশেষ করে যেখানে গলে তার আগের টেস্টে ওর সেঞ্চুরি আছে। এ রকম পরিবেশে ও ভাল প্লেয়ার। তার চেয়েও জরুরি, ও ভাল গতিতে রান তুলতে পারে। ম্যাচ জেতার জন্য যেটা খুব দরকার। বৃষ্টির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা পাল্টা লড়াইয়ের খুব ভাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। তার উপর বেশ কয়েক দিন বিশ্রাম পেয়ে যাওয়ায় ডেল স্টেইনও ফিট হওয়ার বাড়তি সময় পাচ্ছে। তবু বলব, ভারতের চেয়ে এখনও অনেক পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। হালফিল যে ওরা বিদেশে কোনও সিরিজ হারেনি, সেই রেকর্ডটা ধরে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলৌকিক কিছু করতে হবে। (গেমপ্ল্যান)সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু আর দেশের দক্ষিণ দিকে যখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, তখন ব্যক্তিগত সূচি থেকে সময় বের করে একটু ক্রিকেট খেলে নিলাম। এত দিন পরে খেলা, তা-ও আবার যুক্তরাষ্ট্রে। দারুণ অভিজ্ঞতা! যে দুটো মাঠে আমি নিজে খেলেছি, সেগুলো দুর্দান্ত! সিরিজটার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ক্রিকেটাররা হয়তো আসবে-যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর চ্যাম্পিয়নদের পক্ষেও ফর্ম আর ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। তবে অবসরের দু’তিন বছর পরেও ভক্তদের ভাল ক্রিকেট দেখার ব্যবস্থা তো করাই যায়। অকল্যান্ডের কিউরেটররা দুর্দান্ত ড্রপ-ইন উইকেট তৈরি করেছিলেন। সচিন-পন্টিংদের ভাল ব্যাট করতে দেখে দারুণ লাগল। ওয়ার্ন, ভেত্তোরি আর সোয়ান এখনও প্রচণ্ড লড়াকু। এদের মধ্যে সেরা কিন্তু ভেত্তোরি। এত দিন পরে ব্যাট হাতে তুলে ভীষণ আনন্দ পেলাম। পরের মরসুমের জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু করে দিয়েছি। বেঙ্গালুরু টেস্টের কথায় আসি। ভীষণ ভাবে মনে হচ্ছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা অল্পের জন্য বেঁচে গেল। টেস্ট সিরিজে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল। ওদের ব্যাটিং ভারতীয় স্পিন আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না। কয়েকজনকে বাদ দিলে স্পিনিং পিচে ওদের ব্যাটিং একদম অনভিজ্ঞ। ওদের যেটা সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে সেটা হল ফাফ আর আমলার ছন্দে না থাকা। পুরো দায়িত্বটাই এবির ঘাড়ে গিয়ে পড়েছে। তবে কঠিন পিচে রান করার রাস্তা বের করে ফেলেছে সুপারম্যান। প্রথম টেস্টের সময় কাকে যেন বলতে শুনছিলাম, ক্রিজে এবিকে দেখে মনে হচ্ছে গরম টিনের ছাদে একটা বেড়াল লাফালাফি করছে। বিষাক্ত টার্নারে ওর ব্যাটিং দেখে বুঝলাম বেঙ্গালুরু বা মোহালির পিচে বেঁচে থাকার ওটাই একমাত্র রাস্তা। সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতাটাই ওকে সব পিচে গ্রেট করে তুলেছে। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি শিখর ধবনের রানে ফেরা। মোহালির ব্যর্থতার পর ওর বিরুদ্ধে একটু বেশি কঠোর সমালোচনা হয়েছিল। বিশেষ করে যেখানে গলে তার আগের টেস্টে ওর সেঞ্চুরি আছে। এ রকম পরিবেশে ও ভাল প্লেয়ার। তার চেয়েও জরুরি, ও ভাল গতিতে রান তুলতে পারে। ম্যাচ জেতার জন্য যেটা খুব দরকার। বৃষ্টির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা পাল্টা লড়াইয়ের খুব ভাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। তার উপর বেশ কয়েক দিন বিশ্রাম পেয়ে যাওয়ায় ডেল স্টেইনও ফিট হওয়ার বাড়তি সময় পাচ্ছে। তবু বলব, ভারতের চেয়ে এখনও অনেক পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। হালফিল যে ওরা বিদেশে কোনও সিরিজ হারেনি, সেই রেকর্ডটা ধরে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলৌকিক কিছু করতে হবে। (গেমপ্ল্যান) সূত্র : আনন্দবজার পত্রিকা
×