ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা নেয়নি পুলিশ ধামরাইয়ে পুলিশ পরিচয়ে হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

মামলা নেয়নি পুলিশ ধামরাইয়ে পুলিশ পরিচয়ে হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার ॥ পুলিশ পরিচয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল বাইশাকান্দা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে ২ হিন্দু বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের হামলায় আহত হয় ৮ জন। ডাকাতরা লুটে নেয় স্বর্ণ, রৌপ্য, নগদ টাকাসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল। ডাকাতের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন থানায় জমা দেয়া হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের মাধ্যমে। যে ৩ নারী শ্লীলতাহানীর শিকার হন, এরা হচ্ছে- গৃহবধু আদুরী, সোহাগী ও তাদের ভাগ্নি নমিতা। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো মামলা রেকর্ড করেনি। এতে এলাকার হিন্দুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরিহিত ৫ জন যাদের মধ্যে ৩ জনের কাঁধে বন্ধুক, একজনের হাতে ওয়্যারলেস সেট, একজনের হাতে কোর্ট ফাইল নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ ও আনন্দ কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা বাড়ির লোকজনদের বেধড়ক মারধর করে ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, অনুমান ২০ ভরি স্বর্ণ, ২ কেজি রৌপ্যসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে চলে যায়। আহতরা হলেন- আনন্দ সরকার (৫৫), তার মা গোলাপী (৭০), স্ত্রী আদুরী (৪০), ছেলে অমিত (১৭), ভাই প্রদীপ (৪৫), তার স্ত্রী সোহাগী সরকার (৩৪), ছেলে হিরু (১৬) ও ভাগনি মিতু (১২)। এদের মধ্যে আনন্দ ও আদুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত আনন্দ ও প্রদীপ জানান, রাত একটার দিকে পুলিশ পরিচয়ে এসে প্রথমে ডাক দেয় ও দরজা খুলতে বলে। কিন্তু, দরজা না খোলায় ডাকাতরা দরজা ও ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকেই সকলকে মারধর শুরু করে। আমার বৃদ্ধা মা এবং ১২ বছরের শিশু ভাগ্নি মারধর ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ডাকাতদের মধ্যে ৫ জন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। এদের মধ্যে ৩ জনের কাঁধে বন্দুক ও একজনের কাছে ওয়্যারলেস সেট ছিল। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
×