ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০২:১২, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্র্টার ॥ দীর্ঘমেয়াদে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে দিন দিন মানুষের সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৭৫-৭৬ সালের তুলনায় ২০১৫-১৬ সালে এসে দেশে সঞ্চয় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। একই সময়ে দেশজ উৎপাদনে সঞ্চয়ের অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তবে জনগণকে সঞ্চয়ে আগ্রহী করে তুলতে ব্যাংকগুলোর তেমন কোন পদক্ষেপ নেই। এমনকি সঞ্চয় সংগ্রহে অনেকক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামকেই অধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যনেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে প্রবন্ধের তথ্য প্রকাশ ও বক্তাদের আলোচনায় এসব তথ্য ওঠে আসে। প্রবন্ধে বলা হয়, ১৯৭৫-৭৬ সালের তুলনায় ২০১৫-১৬ সালে এসে দেশে সঞ্চয় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ১৯৭৫-৭৬ সালে দেশে ডিপোজিট (সঞ্চয়) করার প্রবণতা ছিল ৬১ শতাংশ। ২০০৫-০৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সালে ডিপোজিট করার প্রবণতা ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে দেশজ উৎপাদনে সঞ্চয়ের অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১৯৭৫-৭৬ সালে দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ডিপোজিটের (সঞ্চয়) অবদান ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ থাকলেও ২০১৪-১৫ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশের ৯ লাখ ৪ হাজার ৬৫২ শিক্ষার্থী স্কুল ব্যাংকিং এর আওতায় এসেছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিআইবিএম এর সহযোগী অধ্যাপক মো: মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, মো: শহীদ উল্লাহ, প্রভাষক নুর আল ফয়সাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থীতিশীলতা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মনজুর-ই-মাওলা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যংকের ডেপুটি গর্বনর মো: আবুল কাশেম বলেন, ব্যাংকের ওপর গ্রাহকদের আস্থা অত্যন্ত স্পর্ষকাতর একটি বিষয়। কর্মকর্তাদের আচরণ ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুশৃঙ্খল আর্থিক ব্যবস্থা কায়েম করতে ব্যাংকগুলোকে অত্যন্ত সর্তকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরণের কাজ করে চলছে। ফলে ক্রমাগত দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহস্রাবদ্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাংকিং ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বিআইবিএম’র জেনারেল ডিরেক্টর তৌফিক আহমেদ চৌধুরির সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ হালিম চৌধুরি, এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামিম আহমেদ চৌধুরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
×