ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরে দাঁড়াচ্ছেন জেলা ফুটবল লীগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে

পদত্যাগপত্র তৈরি মনজুর কাদেরের!

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২০ নভেম্বর ২০১৫

পদত্যাগপত্র তৈরি মনজুর কাদেরের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চমক জাগানিয়া সমাচার। সরে দাঁড়াচ্ছেন মনজুর কাদের। সেটা জেলা ফুটবল লীগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ফুটবলের শীর্ষ দল শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। এই ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের। একজন সফল ফুটবল সংগঠক এবং ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ হিসেবেই যার রয়েছে সুখ্যাতি। কদিন আগেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জেলা ফুটবল লীগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদে। তবে বিভিন্ন কারণে বাফুফের সঙ্গে মনজুর কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। সেগুলোর একটি হলো চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে শেখ জামালের অংশ না নেয়া সংক্রান্ত এবং আরেকটি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প থেকে জামালের দশ ফুটবলারকে নিজের ক্লাবে স্বল্প সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত। তাই জেলা ফুটবল লীগ কমিটির পদ থেকে সরে দাঁড়াবার ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ জামালের সভাপতি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করিনি। তবে পদত্যাগপত্রের খসড়া তৈরি করে রেখেছি। খুব শীঘ্রই এটা জমা দেব। যখন পদত্যাগ করবো, আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়াকে জানিয়েই সংবাদ সম্মেলন করেই ঘোষণা দেব।’ হঠাৎ এ রকম সিদ্ধান্ত নেবার কারণ কি? জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘ফুটবল ভালবাসি। তাই জেলা ফুটবলের উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বাফুফের কিছু কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছি না। যে কাজটা করতে এসেছি সেটি যদি ঠিকভাবে নাই করতে পারি, তাহলে বদনামের ভাগিদার হতে হয়। তাই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ দেশের ফুটবলের উন্নয়ন না হবার পেছনে বাফুফেকেই দায়ী করে কাদের বলেন, ‘ফিফা ও এএফসি যে টাকা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য দেয় সে টাকা আদৌ বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কতটা খরচ হয় তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আর সেই টাকা সুষ্ঠুভাবে খরচ হয় না বলেই বিগত কয় বছরে বাংলাদেশের ফুটবলে উন্নতি হয়নি।’ কাদের আরও যোগ করেন, ‘নব্বইয়ের দশকে জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে বিপক্ষ দলগুলোর কাছে ৫/৬ গোলে হারতো, এখনও তাই হারছে। তাহলে উন্নতিটা কোথায় হলো?’ এখন দেখার বিষয় মনজুর কাদেরের এই সিদ্ধান্তকে বাফুফে কিভাবে নেয়। মনজুর কাদের ইস্যুতে আগামী শনিবার এক জরুরী বৈঠক ডেকেছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটি। সতীর্থ ও বুকাননের ওপর ক্ষুব্ধ ক্লার্ক স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফর্মহীনতা এবং দলের বাজে নৈপুণ্য- এ দ্বিমুখী চাপে পড়েই শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। এবার ইংল্যান্ড সফরে এ্যাশেজ সিরিজে বাজে নৈপুণ্য দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সে কারণে অবসরের ঘোষণা দেন সাবেক অধিনায়ক ক্লার্ক। অবসর নেয়ার পরও সমালোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে। সাবেক দুই সতীর্থ এন্ড্রু সাইমন্ডস ও ম্যাথু হেইডেন তার নেতৃত্ব দেয়ার সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু নীরব ছিলেন অসি অধিনায়ক। অবশেষে সেই নীরবতা ভেঙ্গেছেন তিনি। নিজের লেখা ‘এ্যাশেজ ডায়েরি ২০১৫’-তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। দুই সতীর্থ ও সাবেক অসি কোচ জন বুকাননের তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্লার্ক। বিশেষ করে বুকানরের ওপর নিজের ক্ষোভটা একটু বেশিই ঝড়েছে ক্লার্ক। বুকানন দেশের হয়ে কোন ম্যাচ না খেলার জন্য উপহাস করে লিখেছেন, ‘আমার কুকুর জেরির’ ঠিক এই ধরনের সাফল্য পাওয়া সম্ভব ছিল। সাইমন্ডস সম্পর্কে ক্লার্ক লিখেছেন, ‘এ্যান্ড্রু সাইমন্ডস টিভিতে গিয়ে আমার নেতৃত্ব দেয়া নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কে নেতৃত্ব দেবে সে বিষয়টি বিচার করার দায়িত্ববান কোন ব্যক্তি নন তিনি। এই সেই ব্যক্তি যে দেশের হয়ে খেলার চেয়ে মদ্যপ হওয়াটা বেশি পছন্দ করে। এটাই স্বাভাবিক যে, সে মাতালের মতো ঢিল ছুঁড়বে।’ ক্লার্ক ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে সাইমন্ডসের সঙ্গে বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল পরস্পরের। কিন্তু যখন দলের অধিনায়ক হয়েছেন তখন থেকেই ক্লার্কের সঙ্গে সেই সম্পর্কটা নষ্ট হতে শুরু করে। পরে ২০০৯ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন সাইমন্ডস।
×