ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় পরিত্যক্ত দুই ভবনে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২০ নভেম্বর ২০১৫

হাতিয়ায় পরিত্যক্ত দুই ভবনে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া, নোয়াখালী, ১৯ নবেম্বর ॥ সরকারীভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া এ বারী দাখিল মাদ্রাসার চিত্র এটি। প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থীর এ প্রতিষ্ঠানে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা জেনেও পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পরপরই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তৈরি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর গত বছর এ আশ্রয়কেন্দ্রটি কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও পর্যাপ্ত ভবন না থাকায় এর ভিতরে ও নিচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়। পরিত্যক্ত ঘোষণা ছাড়াও ভবনটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে তার চিহ্ন ভবনের মধ্যেই রয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ রেদওয়ানুল বারী জানান, বাইরে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টি ও কুয়াশার পানি পড়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে এ ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। টঙ্গীতে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় এজতেমা শুরু আজ ৮ জানুয়ারি বিশ্ব এজতেমা নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ১৯ নবেম্বর ॥ শুক্রবার থেকে টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা ময়দানে ৫দিনব্যাপী জোড় এজতেমা শুরু হচ্ছে। বিশ্ব এজতেমার প্রস্তুতি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এই জোড় এজতেমার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব এজতেমাকে সফল করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা এই জোড় এজতেমায় যোগদান করবেন। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব এজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ জোড় এজতেমায় অংশ নিতে মুসল্লিরা দলে দলে এজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হবে বিশ্ব এজতেমা। আর এ বিশ্ব এজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে জামাতভুক্ত পুরনো সাথীদের নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবার বার্ষিক জোড় এজতেমা শুরু হয়েছে। টানা ৫দিন জোড় এজতেমা শেষেই বিশ্ব এজতেমার প্যান্ডেলসহ যাবতীয় কাজ শুরু করা হবে। এজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, জোড় এজতেমা উপলক্ষে ইতোমধ্যে তবলিগ জামাতের প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি এজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন। ঘোড়া দিয়ে পাঁচ পরিবারের জীবিকা নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১৯ নবেম্বর ॥ ওরা সবাই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। যে বয়সে ওদের স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে তারা বেছে নিয়েছে এ পেশা। ওরা সবাই এসেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। জীবিকার সন্ধানে শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে ঘোড়া নিয়ে ছুটে চলছে অবিরাম। ওদের এই ঘোড়ার বহরে রয়েছে লাল রঙের ছয়টি ঘোড়া, রয়েছে ওরা ছয় জন। ঘোড়াপ্রিয় মানুষ কখনও কখনও ঘোড়ার পিঠে চড়ে, কেউবা শখ করে ছবি তোলে। বিনিময় ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা তুলে দেয় ওদের হাতে। মঙ্গলবার পাথরঘাটা থেকে পিরোজপুরের কাউখালী এসেছে ওরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপকূলের গ্রাম-গঞ্জের হাটে বাজারে অবিরাম ছুটে চলা ওদের। ওরা ঘোড়া প্রদর্শন করে সারাদিনে ১ হাজার টাকা, ১২ শ’ টাকা আয় করে। কখনও এই ঘোড়া ছায়াছবির শুটিংয়ের জন্য ভাড়ায় যায়। ঘোড়া যারা প্রদর্শন করে তাদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার এসেছে বরগুনার জেলার বাইল্যাতলী গ্রাম থেকে। পারভেজ এসেছে পিরোজপুরের বাজুকাঠী গ্রাম থেকে। রাসেল ও নাসির দুই সহোদর এসেছে পিরোজপুরের কালীপাড়া গ্রাম থেকে। আরিফ এসেছে বরগুনা জেলার বাইল্যাতলী গ্রাম থেকে।
×