অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মেধাস্বত্ব ছাড়ের সুযোগ পাওয়ার পর এবার ওষুধ রফতানিতে নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এতে করে ওষুধ রফতানি বাড়ার পাশাপাশি এ শিল্পের দ্রুত সম্প্রসারণ হবে বলে মনে করছে সরকার। এছাড়া শিপবিপিল্ডংসহ কয়েকটি অপ্রচলিত পণ্য, এগ্রো প্রোডাক্ট, কুটির শিল্পসহ বেশ কিছু পণ্য রফতানির উপর প্রণোদনা দেয়া হবে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতাভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সের প্রস্তুতি বিষয়ক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এছাড়া ডব্লিউটিও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দশম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশের জন্য বাস্তবায়ন না হওয়া তিনটি সুবিধা আদায়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য আরও কিছু নতুন সুবিধা চাওয়া হবে বলে। তিনি বলেন, আগামী ১৫-১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মিলে মোট ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডব্লিউটিও সভায় অংশগ্রহণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পুরনো সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদানের সুপারিশ ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ দেশ এ সুবিধা দিলেও কিছু কিছু দেশ এ সুবিধা বাংলাদেশকে দেয়নি। তাই সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে এ সুবিধা চাওয়া হবে। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জনগণ উন্নত দেশে কাজ করতে গেলে বেশ কিছু শর্ত থাকে সেসব শর্তগুলো যাতে শিথিল করা যায় সেজন্য প্রস্তাব দেয়া হবে। একই সঙ্গে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রুলস অব অরিজিনের শর্ত শিথিল করার দাবি জানানো হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্বে ছাড় পেয়েছে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত সদস্য দেশগুলো (এলডিসি)। ৬ নবেম্বর ডব্লিউটিও বাণিজ্য সম্পর্কিত মেধাস্বত্ব অধিকার (ট্রিপস) কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নেয়। এটা না হলে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি পেত। বাংলাদেশ ১০৭ দেশে ওষুধ রফতানি করছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রচলিত পণ্য, এগ্রো প্রোডাক্ট, কুটির শিল্পসহ বেশ কিছু পণ্যের উপর আমরা ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেব। এজন্য কাজ চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের রফতানির প্রবৃদ্ধি ভাল। বিশেষ করে আমেরিকাতে আগের চেয়ে ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ পণ্য রফতানি বেড়েছে। এটা ভাল লক্ষণ। তবে ইউরোর দাম পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ৩ বিলিয়ন ডলার রফতানি কম হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: