ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পর্দা উঠল বিপিএল তৃতীয় আসরের

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২১ নভেম্বর ২০১৫

পর্দা উঠল বিপিএল তৃতীয় আসরের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক এক করে মঞ্চে এলেন মাশরাফি, মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লাহ, নাসির, সৌম্য সরকার। নিজেদের অভিব্যক্তির কথা জানালেন। শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল-টি২০) তৃতীয় আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাশরাফিদের উপস্থিতিতে ক্রিকেট মিলল। লেজার শোতে প্রতিটি দলের লোগো, বাংলাদেশের মানচিত্র দেখানো হলো। আর কোন ক্ষেত্রেই ক্রিকেট মিলল না। পাওয়া গেল না দেশীয় ঐতিহ্যও! কয়েকটি গানেই শুধু তা মিলল। ‘উদ্বোধন হিট তো বিপিএল টুর্নামেন্ট হিট!’-কথাটি বৃহস্পতিবার বলেছিলেন বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শেখ সোহেল। সত্যিই কী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হিট হলো? সেই প্রশ্ন থাকছেই। এ অনুষ্ঠান দেখতে এসে জাতীয় দলের ইমরুল কায়েসের মতো ক্রিকেটারকে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। বিপিএল হচ্ছে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটাররা খেলবেন। অথচ সেই ক্রিকেটাররাই যদি বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করতে এসে লাঞ্ছিত হন, তাহলে আর বিপিএলের রং থাকে কোথায়! উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জমকালো করার সবরকম প্রস্তুতিই বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে যতটা সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা যায়, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। ভারতের তারকা অভিনেতা হৃতিক রোশন ও অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে আনা হয়েছিল অতিরিক্ত উপভোগ্য করার জন্য। আর তাতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনেক আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে ক্রিকেটার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাটিই আসলে সব আয়োজনকে এক নিমিষে যেন আকর্ষণহীন করে তুলল। তবে শেষে হৃতিক ও জ্যাকুলিনের পারফর্ম আতশবাজি ও লেজার শোতে আবার আকর্ষণ মিলল। যার জন্যই এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিকে ছিল সবার নজর। শেখ সোহেল আগেই জানিয়েছিলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে দেশী অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌকে দিয়ে। শেষ হবে হৃতিক রোশনের পারফর্মেন্স দিয়ে। দুপুর তিনটায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গেট দর্শকদের জন্য খোলা হবে। সাড়ে চারটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। মৌ শুরুতে পারফর্ম করবেন। দেশী শিল্পী দিয়েই শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। এরপর পাঁচটায় দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট, ছয়টায় এলআরবি গান পরিবেশন করবে। সাড়ে ছয়টায় মমতাজ সুরে মাতাবে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশী শিল্পীদের পারফর্মমেন্স পালা। সাতটায় ভারতের কে কে গান গাইলেন। আটটায় শুরু হলো জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ আর হৃতিক রোশনের পারফর্মমেন্স।’ সব ঠিকমতোই হলো। তবে এলআরবির পরে চিরকুট ব্যান্ড স্টেডিয়ামের দর্শকদের মাতাল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও শুরু হয় এক ঘণ্টা পরে বেলা সাড়ে পাঁচটায়। শুরু থেকে যত সময় গড়াতে থাকে, অনুষ্ঠানের আমেজও যেন বাড়তে থাকে। মমতাজ যখন আসেন, তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এরপর কে কে গান গেয়ে স্টেডিয়াম দর্শকদের মাতালেন। শেষে হৃতিক রোশন ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ মঞ্চে আসতেই দর্শকরা চিৎকারে ফেটে পড়েন। স্টেডিয়ামে আগত প্রত্যেক দর্শক নিজের মোবাইল জ্বালিয়ে স্টেডিয়াম আলোকিত করার চেষ্টা করে অনুষ্ঠানের আকর্ষণ মাত্রা আরও বাড়ালেন। শেষে লেজার শোর পরে আতশবাজিতে পুরো মিরপুর স্টেডিয়াম উদ্বোধনী শেষের বাজনা আর আলোর বিচ্ছুরণে আলোকিত হয়ে উঠল। এর আগে ‘চিটিয়া কালাইয়া’, ‘লাট লাক গ্যায়ি’ গানে পারফর্ম করেন জ্যাকুলিন। এরপর ‘ব্যাং ব্যাং’, ‘ধুম মাচালে’-গানের তালে নেচে সবাইকে মাতোয়ারা করে তোলেন হৃতিক। তবে খুব বেশি সময় দেননি। হৃতিক বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। সেই ভালোবাসা দিয়েই বিপিএলের তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও শেষ হয়।
×