ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্যের সংজ্ঞা’

প্রকৃতির অপার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২১ নভেম্বর ২০১৫

প্রকৃতির অপার সম্ভাবনা

মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড : নবেম্বর ২০১৫/১৫ পৃ: হুবহু তুলে ধরে আমার নিজস্ব বক্তব্য পেস করলাম। ‘মাথাপছিু আয়ের ভিত্তিতে দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বিশ্বব্যাংক। নতুন হিসাব অনুযায়ী, যে ব্যক্তির দৈনিক আয় ১.৯০ ডলারের কম, তিনিই অতি দরিদ্র হিসেবে বিবেচিত হবেন। ২০০৫ সাল থেকে সোয়া ডলারের (একশ’ টাকার সমান) দৈনিক আয়ের মানুষকে অতি দরিদ্র ধরা হতো। নতুন মাথাপিছু আয়ের হিসাবে ২০১৫ সালের শেষে দক্ষিণ এশিয়ায় অতি দারিদ্র্যের সংখ্যা কমে আসবে ১৩ শতাংশে। ২০১৪ সালের শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭২ কোটি। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নিরসনে ২০১৩ সালে দুটি প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিশ্বব্যাংক। একটি হলো- ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। দ্বিতীয়টি হলো নিম্ন আয়ের ৪০ ভাগ মানুষের অবস্থার উন্নতি করা। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৯০ কোটি ২০ লাখ ছিল।’ ওপরের হিসাব অনুযায়ী আমি মোহাঃ হাবিবুর রহমান অতি দরিদ্র শ্রেণীর তালিকায় পড়ি। আমার মাসিক আয় সর্বোচ্চ ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচ শ’ টাকা মাত্র) আমার ব্যয়ের খাতে শুধু চিকিৎসা বাবদ (স্ত্রী এবং আমার): (২৫০০+২০০০)=৪৫০০/ (চার হাজার পাঁচশ’) মাসিক। খাওয়া, পোশাক, সামাজিক, পরিবহন এবং অন্যান্য খরচ যোগ করলে আমি অতি দারিদ্র্যের সর্বনিম্ন স্তরে পড়ি। এমতাবস্থায় আমার স্স্থু এবং স্বাভাবিক জীবন মানের নিশ্চয়তা চাই। মোঃ হাবিবুর রহমান গাংনী, মেহেরপুর। বিবেকবান মানুষের অভাব দেশে যে হারে বিবেকবান মানুষের সঙ্কট দেখা দিয়েছে তাতে আতঙ্কিত পাশাপাশি উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কিভাবে একে অপরকে হত্যা করছে, তুচ্ছ ঘটনার জন্য মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় তা আগে কখনও ভাবিনি। তবে মানুষের বড় বিবেক হচ্ছেÑশিক্ষা। আর শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষিত সমাজ নিয়ে বিবেকবান মানুষ তৈরি করা সম্ভব নয় কারণ অশিক্ষিত সমাজ, বেকার নেশা-মাদকাসক্ত লোকজন টাকার জন্য যে কোন অপরাধ কর্মকা- বা হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও মাদক বেচা-কেনায় জড়িত হয়ে পড়ছে। এদের রক্ষা করতে সরকারের ভূমিকা একেবারে নেই। এ জন্য দেশের রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অনেকাংশে দায়ী। সমাজে অসৎ লোকের দৌরাত্ম্যে বিবেকবান মানুষ আজ জীবন নিয়ে পালাতে শুরু করেছেন। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা বড় ভাই তালগাছে ইদানীং বড় ভাই সমালোচনায় ব্যস্ত সকল মহল। নানা সংস্থা নানা কথা বলছে, অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তথ্য গোপন করা রাষ্ট্রীয় অপরাধ। চলমান সময়ে জঙ্গী অপকর্ম, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় জড়িতদের নির্দেশদাতার কথিত ওই শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিকে ‘বড়ভাই’ নামকরণ করা হয়েছে এক সময়ের বাংলাভাইয়ের মুরব্বি বড়ভাই ও বর্তমান বড়ভাই একই ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বড় ভাই তালগাছের মাথায় বসে ভূত-প্রেত-শয়তান চালান দিয়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। নিজ দলের নেতারাও কুকর্ম পছন্দ না করে একে একে বিদায় হচ্ছেন, জনগণ বড়ভাইয়ের নাম ও অবস্থান জানার অপেক্ষায়। মাইজ্জাভাই, সাইজ্জাভাই গেল তল ব্যাঙ বলে কত জল। লোভে পাপ এবং পাপে পতন। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ঠিক সে কাজটি পেট্রোলবোমার আগুনের মাধ্যমে শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করে। বিএনপি চেয়ারপার্সন জেদের বশবর্তী হয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের গালি দিয়ে বসলেন গোপালী বলে। অবশেষে লজ্জার মাথা খেয়ে গণতন্ত্র হত্যা করার উদ্দেশ্যে আকাশপথে উড়াল দিয়ে নিরুদ্দেশ হলেন। মেছের আলী শ্রীনগর। অনিশ্চিত অন্ধকার বাংলাদেশে মাদকের ভযাবহতা দিন দিন বেড়েই চলছে। গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের মাঝামাঝি হওয়ায় বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে খুবই উপযুক্ত যার ফলে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য অনেকটাই সহজলভ্য। গ্রামাঞ্চল, শহর, মফস্বল সব জায়গায় বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে দেশের উঠতি তরুণ তরুণীরা। মাদক সেবন বর্তমানে অনেকাংশে ফ্যাশন কিংবা স্মার্টনেসের সংজ্ঞা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবহার করছে মাদকদ্রব্য প্রসারের কাজে। এভাবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক। যার ভয়াল করালগ্রাসে পুরো সমাজ ব্যবস্থা ধসে পড়ছে। সমাজে বাড়ছে অশান্তি আর জাতি নিমজ্জিত হচ্ছে এক অনিশ্চিত অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে। তাই সময় থাকতে আমাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। হান্না বেগম প্রমা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় , সিলেট কোথায় যাচ্ছি আমরা? সব ছাত্রই পরীক্ষায় ভাল করতে চায়, হোক সেটা বৈধ উপায়ে অথবা অবৈধ উপায়ে। কারণ আমাদের দেশে একটা নীতি বেশি খাটে ‘যতো বেশি পরীক্ষা, ততো বেশি পণ্ডিত।’ প্রশ্ন ফাঁস আমাদের দেশে এখন অন্যতম পরিচিত ২টি শব্দ। প্রশ্ন ফাঁস, নকল, দুর্নীতি এগুলো একটি শিশুকে তার জীবনের শুরুতেই অসৎ হতে শেখায়, শিশু বয়সেই রপ্ত করতে শেখায় দুর্নীতি। এভাবে পরীক্ষা নামক প্রহসন চালানো ছাড়া আমরা আর কিইবা করতে পারি? কি কাজে লাগবে এই সনদ? কথা হচ্ছে, আমাদের লক্ষ্য কি এ প্লাস নাকি সুশিক্ষিত মানুষ যারা দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারবে? সাঈদ সাজ্জাদ জেরিস সিলেট
×