ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খেজুর রসের পিঠা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২১ নভেম্বর ২০১৫

খেজুর রসের পিঠা

অগ্রহায়ণের শুরু থেকে দরজায় উঁকি দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। হালকা শীতের চাদরে মুড়ে এরই মধ্যে রসনা বিলাসে তৈরি হতে শুরু করেছে শীতের পিঠা-পুলি। পিঠা-পুলি আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। তাই সংস্কৃতির পথ ধরেই হরেকরকম পিঠাও তৈরি হয়। উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও আশপাশের এলাকায় শীত এলে সবার আগে তৈরির ধুম পড়ে ভাপা পিঠার। এছাড়া হরেকরকমের পিঠার মাঝে এ অঞ্চলের ‘রসপিঠা’ সবচেয়ে লোভনীয় ও সুস্বাদু। আর ক’দিন পরই গ্রামের ঘরে ঘরে মিষ্টি গন্ধ ছড়াবে রসপিঠা। আত্মীয় ও অতিথি আপ্যায়ন শুরু হবে পিঠা দিয়ে। রাজশাহী অঞ্চলে অগ্রহায়ণের শুরু থেকেই মুলত শুরু হয়ে যায় পিঠা বানানোর প্রস্তুতি। এ সময়ে কৃষকের ঘরে আসে নতুন ধান। নতুন ধানের মন মাতানো গন্ধে ম-ম করে কৃষকের ঘর। এমনই সময় পাওয়া যায় খেজুরের রস। বাড়ি বাড়ি গৃহিণীরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে নতুন চালের গুঁড়া আর খেজুরের রস বা গুড় দিয়ে পিঠা তৈরিতে। রসপিঠা হলো বিশেষ ধরনের চিতই, যা খেজুরের রসে ভিজিয়ে রাখা হয়। এ পিঠা টাটকার চেয়ে বাসিটায় বেশি সুস্বাদু। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে এ পিঠার আকর্ষণ বেশি। আমাদের সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ পিঠা। এমন কিছু পিঠা আছে যা অনেকের খুবই পরিচিত। অগ্রহায়ণ মাস আসতে না আসতেই শুরু হয়ে যায় পিঠা বানানোর প্রস্তুতি। বাড়ি বাড়ি গৃহিণীরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে নতুন চালের গুঁড়া আর খেজুরের রস বা গুড় দিয়ে রসের পিঠা তৈরির কাজে। অনেক সময় পিঠা বানাতে খেজুরের রসের সঙ্গে মেশানো হয় দুধ, ক্ষীর, নারকেল, মসলা ইত্যাদি। তবে একেক পিঠা তৈরি হয় একেক ধরণের উপাদানে। এখন সচরাচর ভাপা, পাটিসাপটা ও চিতই পিঠা মেলে সবখানে। তবে চিতই পিঠার কথা বললে ভেজানো পিঠার নাম এমনিতেই চলে আসে। ভেজানো পিঠাই হলো রসপিঠা। চিতই পিঠা ভেজাতে হয় গুড়, দুধ আর রসের তৈরি মিশ্রণে। এ পিঠা নরম হলে খেতে ভাল লাগে। সাধারণত সন্ধ্যা বা রাতের দিকে বানানোর প্রচলন রয়েছে এ পিঠা। শীতের সকালে এ পিঠা খেতে অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি হয়। শহরেও এ পিঠা তৈরি হয় তবে তা খুব সীমিত। শহরে তৈরি রসপিঠার চেয়ে গ্রামে তৈরি পিঠার স্বাদ ও ঘ্রাণ আলাদা। Ñমামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী থেকে
×