ইবি সংবাদদাতা ॥ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সাফল্যের ৩৬ বছর শেষ করে ৩৭ বছরে পদার্পণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সবুজে ছায়া ঘেরা এ ক্যাম্পাস ১৭৫ একরের উপর প্রতিষ্ঠিত । ১৯৭৯ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থান শাস্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে বিশ্বাবদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।
১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি ড.এ.এন.এ. মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে উপাচার্য নিয়োগ করে দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদের অধীন ২৫টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এ্যান্ড রিসার্চ নামে রয়েছে একটি ইন্সটিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে ৭টি যার মধ্যে ছাত্র হল ৪টি ও ছাত্রী হল ৩টি। ফলে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা ভোগ করছে। বিভিন্ন বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১৮০৫ জন, এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৮১৩৬ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৬৬৯ জন। এপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন ২৬৮ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে ৩৫৯ জন শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে ।
চিরসবুজ এ ক্যাম্পাস কৃষ্ণচুড়া ও বকুল ফুলের জন্য রয়েছে আলাদা পরিচিতি। এছাড়া দেশের ক্যাম্পাস ভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ ও সর্ববৃহৎ শহীদ মিনার রয়েছে এখানে। রয়েছে স্বাধীনতার স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’, স্মৃতিসৌধ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে যে আধুনিকতার ছোয়া এসেছে তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে আরো কয়েকটি নতুন বিভাগ চালু করতে পারবো বলে আশা করছি।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: