ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাসে পেট্রোলবোমা হামলার সাড়ে ৯মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ২১ নভেম্বর ২০১৫

বাসে পেট্রোলবোমা হামলার সাড়ে ৯মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কুমিলার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত কক্সবাজারের চকরিয়া বরইতলীর মোহাম্মদ ইউছুপ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশার মরদেহ অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সাড়ে ৯ মাস পর অবশেষে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: মাসুদ আলম, চকরিয়া থানার ওসি, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শনিবার বেলা ১১টায় লাশ দু’টি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এরপর ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা বাসকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ও পরে আটযাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। নিহতদের মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নের আবু তাহের, বরইতলী গোবিন্দপুরের মোহাম্মদ ইউসুফ ও মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা (নম্বর-৪) রুজু করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত আটজনের মধ্যে শুধুমাত্র চকরিয়ার আবু তাহেরের ময়না তদন্ত হয় মারা যাওয়ার পর। অপর সাতজনকে ওইসময় কুমিলার জেলা প্রশাসন মানবিক কারণে ময়না তদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর লাশ গুলো নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। ময়না দতন্ত ছাড়াই লাশ গুলো দাফন করার ফলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ কারণে নিহতদের মধ্যে সাতজনের লাশ ফের কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে আবেদন করা হলে এরই প্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রাথমিক সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করতে কবর থেকে লাশ গুলো উত্তোলনের নির্দেশ দেন। জনকণ্ঠের চকরিয়া সংবাদদাতা জানান, লাশ উত্তোলনের সময় স্থানীয় লোকজনের প্রচুর ভিড় জমে। ওসময় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। জামায়াত-বিএনপির ক্যাডারদের ধিক্কার জানান উপস্থিত লোকজন।
×