ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আলোর ঝর্ণাধারায় রঙিন ঢাকা সেনানিবাস

জাতির প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নিবেদিত থাকবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২২ নভেম্বর ২০১৫

জাতির প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নিবেদিত থাকবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

ফিরোজ মান্না ॥ ‘আলোকের ঝর্ণাধারায় রাঙিয়ে দাও রাঙিয়ে দাও’। আলোকের নানা রং দিয়েই রাঙিয়ে দেয়া হয়েছিল ঢাকা সেনানিবাস। ফুলে ফুলেও সেজেছিল সেনাকুঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাকুঞ্জে আসার পরই চৌকস বাদক দল বাদ্যযন্ত্রে জাতীয় সঙ্গীতের সুর তোলেন। সুরের মূর্ছনায় কুঞ্জ এলাকায় এক মনোরম পরিবেশ তৈরি ছিল। এ সময় উপস্থিত সামরিক বেসামরিক সব স্তরের কর্মকর্তা নেতা-মন্ত্রী যে যেখানে ছিলেন সেখানেই নীরব দাঁড়িয়ে যান। সে এক অন্য রকম দৃশ্য। এমন দৃশ্য সেনাকুঞ্জে বছরে একবারই দেখা যায়। আর সেই দিনটি হচ্ছে ২১ নবেম্বর। দিনটি সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটি সশস্ত্র বাহিনীই নয়, গোটা জাতির কাছে ভীষণ গুরুত্ব বহন করে। তাই দিনটিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়েছিলেন সেনাকুঞ্জে। বাদ ছিলেন না সংবাদ কর্মীরাও। শনিবার ভোর থেকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের নানা কর্মসূচী শুরু হয়। ভোরে ফজর নামাজে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা হয়। সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানগণ। এরপর একের পর এক কর্মসূচী চলে। ঢাকা সেনানিবাসের মতো দেশের সেনা, নৌ ও বিমান ঘাঁটিতেও নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য যুদ্ধকালীন ও শান্তিকালীন সময়ে বীরত্বপূর্ণ কর্মকা-ের স্বীকৃতিস্বরূপ যুদ্ধকালীন ও শান্তিকালীন পদক প্রচলন করেছে, যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর ১৯ কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সদস্যকে পদকে ভূষিত করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অসাধারণ কর্মতৎপরতার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যে কোন প্রয়োজনে আপনারা নিবেদিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আজ আপনাদের যে সম্মানে ভূষিত করা হলো তা আপনাদের ভবিষ্যতে আরও আত্মপ্রত্যয়ী করবে। মানব উন্নয়ন সূচক, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জিডিপি, রফতানি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, এমডিজি ও কর্মসংস্থান খাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমছে। তবে এই ব্যবধান আরও দ্রুত কমে আসবে। তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ‘আমরা কেবল নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে থাকব না, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা অবশ্যই ২০২১ সাল নাগাদ উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন তা করার জন্য তিনি তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। আমি অন্ততপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগ ভুলতে পারি না। আমি তাদের জন্য যা কিছু করার সবই করব। আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন। রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। নিজের জীবন তুচ্ছজ্ঞান করে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রেখে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি দেশ ও একটি লাল-সবুজ পতাকা উপহার দিয়েছেন। এজন্য জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদায় পুনর্প্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাঁদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সাত বীরশ্রেষ্ঠসহ ৭০ বীরউত্তম ও বীরবিক্রম এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের হাতে সম্মানীর চেক ও উপহার তুলে দেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত কয়েক মুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভুল তালিকা তৈরিতে ডাটাবেজ কার্যক্রম চলছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ডাটাবেজ কার্যক্রম শেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নয়টি নিরাপত্তা বার কোডসহ মূল সনদপত্র দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মাসিক রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন নয় হাজার ৭০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে স্বল্পমূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তিন বাহিনীর প্রধানগণ সাক্ষাত করেন। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ যাতে রোধ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন তা করার জন্য আমি আমার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান’ অভিহিত করে তাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। চলতি অর্থবছরে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা, চিকিৎসা এবং রেশন সামগ্রী বাবদ প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ভূমিহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ বাবদ ২২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২ হাজার ৯৭১ জন সদস্যের জন্য বাসস্থান নির্মাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ ভবন নির্মাণ হবে। ইতোমধ্যে, ৩৫ জেলায় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে তিনি ২০১৪-১৫ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব এম এ হান্নান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সকাল সাড়ে এগারোটায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ বাহিনীর প্রধান ভাইস এ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার বঙ্গভবনে যান। এ সময় তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নবেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। শনিবার সকালে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ এবং সরকারপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান। রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় অভিবাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতির পর সরকারপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বাণীতে রাষ্ট্রপতি শহীদ সেনাদের স্মরণ করে বলেছেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী একটি উঁচু পেশাদার, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল বাহিনী। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও জাতিগঠনমূলক কর্মকা-ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বিদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। বগুড়া থেকে মাহমুদুল আলম নয়ন জানান, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শনিবার বগুড়া সেনানিবাসে সংবর্ধনাসহ নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। বিকেলে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনার। এতে সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১১ পদাতিক ডিভিশন, বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল একেএম আব্দুল্লাহিল বাকী। পরে এরিয়া কমান্ডার সশস্ত্র বাহিনী উপলক্ষে কেক কাটেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বগুড়া সেনানিবাসে বিশেষ মোনাজাত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান পালন হয়।
×