ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২২ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজধানীর শতাধিক স্থানে আনন্দ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলে অংশ নিয়ে স্বস্তি ও উল্লাস প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, একাত্তরের এই দুই ঘাতকের ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের দীর্ঘ ৪৪ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, ১৬ সহ¯্রাধিক দিনের অপেক্ষার অবমান হলো। ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের আত্মা শান্তি পেল। দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্তির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন ফোনে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর জাতি কলঙ্গ মোচনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি বলেন, দেশী-বিদেশী চাপ ও জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দেশের তরুণ প্রজন্ম এবং মুক্তিকামী জনগণ যারা এ সরকারকে ভোট দিয়ে এ বিচারের সুযোগ করে দিয়েছেন আজ তাদের সবাইকে জাতির পক্ষ থেকে স্যালুট দেয়া উচিত। শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শনিবার বিকেল থেকে চলে। রায় বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য গতকাল বিকেল থেকেই দীর্ঘ রাত পর্যন্ত রাজপথে সজাগ ও সতর্ক ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যার পর থেকে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খ- খ- মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আসতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরো বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। রাত বরোটা ৪৫ মিনিটে যখন দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর চলে আসে তখন বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউসহ রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড-থানা থেকে শতাধিক আনন্দ মিছিল বের হয়। এসব মিছিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের মিছিলটি ছিল বিশাল। অর্ধলক্ষাধিক লোকের এই মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলগুলোতে ছিল অভিন্ন স্লোগান, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, একাত্তরের ঘাতকদের ঠাঁই নাই।’ মিছিল থেকে মিষ্টিমুখ ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
×