ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের দাম না থাকায় হতাশ কৃষকরা

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২২ নভেম্বর ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের দাম না থাকায় হতাশ কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে পুরোদমে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। তবে ফলন ভালো হওয়ার পরেও বাজারে ধানের দাম আশানারুপ না পাওয়ায় হতাশায় পড়েছে কৃষক। এ বছর ধান প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি ) ১২৫০-১৩০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস জানায়, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫টি উপজেলায় এ মৌসুমে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭’শ ১৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫ শ” ২৮ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে। দেশীয় উদ্ভাবীত স্বল্প জীবন কালের ধান বিনা-৭, সুমন, স্বর্ন, ব্রি ধান ৩৩ ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড ধানের চাষ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের দাম শুরুতে ভালো পাওয়া গেলেও এখন অনেক কম বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এখনো কোন অটো রাইস মিল বা সরকার ধান সংগ্রহ করছে না তাই বাজারের এই অবস্থা মনে করছে কৃষক। সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি বলেন, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের ধানের চাষ করেছি। কাটা মারা শেষ। বিঘা প্রতি ২২-২৪ মন হারে ফলন হয়েছে। ১২০০-১২৪০ টাকা দরে বস্তা বিক্রি করছি। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সালন্দর এলাকার মজিবর রহমান বলেন, ‘পাঁচ বিঘায় গুটিস্বর্ণা ধানের আবাদ করেছিলাম। বিঘাপ্রতি ধানের ফলন পেয়েছি ২১ মণ। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। ধান বেচে দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচ আর ধান বিক্রির টাকায় সমানে সমান। ধান বেচে কোনো লাভের মুখ দেখলাম না।’ সদর উপজেলা আকঁচা ইউনিয়ন এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ একর জমিতে স্বর্ন ধানের চাষ করেছি। শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে (খড়সহ ধান) শুকাতে দিয়েছি জমিতে। দিন কয়েক পরে ধান বাড়িতে নিয়ে যাব আর জমিতে আলুর চাষ করবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে স্বর্ন ধান প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি ) ১৩০০-১৩৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ধানের যে দাম আছে সে দামে ধান বিক্রি করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। এবার চুক্তিবদ্ধ ও বর্গাচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত। চুক্তিবদ্ধ ও বর্গাচাষিদের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান অথবা সমপরিমাণ টাকা দিতে হয় গেরস্থকে। এবার গেরস্থর পাওনা মেটানোর পর নিজের পুঁজিই থাকছে না। রায়পুর এলাকার চুক্তিবদ্ধ চাষি আইনুল হক বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে গুটিস্বর্ণা ধানের আবাদ করেছি। ধান বিক্রি করে কোনো লাভ হয়নি এবার। আমার পকেট থেকে দিতে হচ্ছে গেরস্থকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী খান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান চাষীরা ভাল ফলন পেয়েছে। বর্তমানে ধানের দাম কিছুটা কম হলেও কয়েকদিন পরে আশানারুপ দাম পাবে বলে আশা করছি। ‘আমন ধানের বাজারটা ব্যবসায়ী, পাইকার ও ফড়িয়া নির্ভর। কাটা-মাড়াইয়ের শুরু থেকেই ধানের বাজার তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে উৎপাদকেরা তাঁদের কাছে
×