স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী শহীদজায়া রওশন আরা মল্লিক। রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনি সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য গ্রহণে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সংক্ষিপ্ত জেরার পর মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ নভেম্বর পযন্ত — মুলতবি করা হয়েছে।
শহীদ নুরুল আমিন মল্লিকের স্ত্রী শহীদজায়া রওশন আরা (৬৮) বলেন, ১৯৬১ সালে ১৪ বছর বয়সে নুরুল আমিন মল্লিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালে নুরুল আমিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি জামালপুর শহরের মেডিকেল রোডে ওষুধের ব্যবসা (ফার্মেসি) করতেন।
১০ জুলাই ১৯৭১) শহীদ নুরুল আমিন মল্লিককেৎক ফিরে পেতে স্থানীয় শান্তি কমিটি ও বদর বাহিনীর নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তার পরিবারের সদস্যরা। শান্তি কমিটি ও বদর বাহিনীর নেতারা নুরুল আমিনকে ফিরিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিল। এ কথা সাক্ষি রওশন আরা তার শ্বশুর এবং ভাসুরের কাছে শুনেছিলেন।স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা হিসেবে ইউসুফ মাস্টার, মক্তব কবিরাজ, শরীফ, শামসুল অ্যাডভোকেটের নাম সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন তিনি।সাক্ষি বলেন, “পরদিন অর্থাৎ ১১ জুলাই আমার স্বামীর মরদেহ ব্রহ্মপুত্রের চাপাতলা ঘাটে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। আমার স্বামীর মুখে তখন কাপড় গোঁজা, দুই হাত এবং পা বাঁধা ছিল। গুলিবিদ্ধ শরীরে বেয়নেটের আঘাতও ছিল।”
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: