ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এবার নিজামী ও মীর কাশেমের পালা

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

এবার নিজামী ও মীর কাশেমের পালা

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপীল নিষ্পতিতে এবার জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেমের পালা। ইতোমধ্যে আপীলে ১৭টি মামলার মধ্যে ৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ৪ জনের দ- (কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মুজাহিদ ও সাকা) কার্যকর করা হয়েছে। দুইজন আসামি (গোলাম আযম ও আব্দুল আলীম) মারা যাওয়ায় তাদের আপীল মামলা অকার্যকর হয়েছে। আরও দশটি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে নিজামীর মামলাটির শুনানি চলছে। মীর কাশেমের মামলাটি কয়েকবার কার্যতালিকায় এসেছে। অন্যদিকে ৫টি মামলায় ৬ জন পলাতক থাকায় তাদের দ- বহালই রয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মোট ১৭টি মামলা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে ৫ বছর ৮ মাসে মোট ২১টি মামলায় ২৪ জনকে দ- প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মামলা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, মামলা যেভাবে চলছে তাতে ডিসেম্বরে আদালত অবকাশে যাওয়ার আগেই নিজামীর মামলার কার্যক্রম শেষ হতে পারে। নিজামীর আপীল মামলার শুনানি চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দিন শুনানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেও হবে। আশা করছি সুপ্রীমকোর্টের অবকাশ শুরু হওয়ার আগেই অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আসামিপক্ষের পর আমি শুনানি করব। তবে আমি বেশি সময় নেব না। তিনি আরও বলেন, এটা আমার প্রত্যাশা। যদি এর মধ্যে অন্য কোন মামলা এসে যায় তাহলে ভিন্ন কথা। আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ- প্রদান করার পর আপীল বিভাগে ১৭ জন আপীল দায়ের করেন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম আপীল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেও মারা যান, সে কারণে তাদের আপীল অকার্যকর হয়ে যায়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দ- কমিয়ে আপীল বিভাগ আমৃত্যু করাদ- প্রদান করে। সাঈদীর মামলায় এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়নি। রায় প্রকাশ করলে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ করবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদ- বাড়িয়ে আপীল বিভাগ আব্দুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদ- প্রদান করে। তার দ- কার্য়কর করা হয়েছে। একইভাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ট্রাইব্যুনালের দ- বহাল রাখে আপীল বিভাগ। এরপর রিভিউ আবেদনেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর এই তিনজনের দ- কার্যকর করা হয়েছে। এদিকে এর আগে আব্দুল কাদের মোল্লা ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। কিন্তু এবার সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে এখন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজমীর করা আবেদনের শুনানি চলছে। ১৯ নবেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপীল বেঞ্চে এ মামলার তৃতীয় দিনের শুনানি হয়। বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-১। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নবেম্বর আপীল করেন নিজামী। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে মীর কাশেম আলী আপীল করেছেন। তার মামলাটি আপীলের কার্যতালিকায় এসেছিল। সেদিক দিয়ে এটা বুঝা যায়Ñ এ দুটি মামলার শুনানি আগে হবে। মীর কাশেম আলী ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রামের বাঙালী খান, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীকে ২০১৪ সালের ২ নবেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের রায় প্রদান করে ট্রাইব্যুনাল। ৩০-১১-১৪ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাশেম আপীল করেন। মোঃ মোবারক হোসেন ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রোকন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার কমান্ডার মোঃ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নবেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। মোঃ মোবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালের দ-ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপীল দায়ের করেন। সৈয়দ মোঃ কায়সার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষিপ্রতিমন্ত্রী কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সৈয়দ মোঃ কায়সার দ-ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপীল দায়ের করেন। এটিএম আজহারুল ইসলাম ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর কমান্ডার এটিএম আজহারুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এটিএম আজহারুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের দ-ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপীল দায়ের করেন। আব্দুল জব্বার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক পিরোজপুরের রাজাকার কমান্ডার জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারকে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদ- চেয়ে ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপীল দায়ের করেছে। আব্দুস সুবহান ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সংগঠক আবদুস সুবহানকে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদ- দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এই দ-ের বিরুদ্ধে সুবহান ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ আপীল দায়ের করেন। মাহিদুর রহমান এবং আফসার হোসেন চুটু ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান এবং আফসার হোসেন চুটুকে ২০১৫ সালের ২০ মে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। এই দ-ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি মাহিদুর আপীল করেন, তবে চুটু করেননি। সিরাজ মাস্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের কসাই রাজাকার কমান্ডার শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টারকে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট মৃত্যুদ- ও খান আকরাম হোসেনকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপীল করা হয়েছে। যারা পলাতক আছেন ॥ পাঁচটি মামলায় ৬ জন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেনÑ আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মঈনুদ্দীন, জাহিদ হোসেন খোকন, হাসান আলী ও ফোরকান মল্লিক। এদের সবাইকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদ- প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনাল যাদের দ- প্রদান করে ॥ ২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এ পর্যন্ত ২১টি মামলার রায় হয়েছে। তার মধ্যে ২৪ জনকে বিভিন্ন দ- প্রদান করা হয়েছে। যাদের দ- দেয়া হয়েছে তারা হলেনÑ জামায়াতের সাবেক রোকন বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদ (মৃত্যুদ-), জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা (আমৃত্যু কারাদ- (আপীলে মৃত্যুদ- ও পরবর্তীতে রায় কার্যকর), জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (মৃত্যুদ-) আপীলে আমৃত্যু কারাদ-, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (মৃত্যুদ-) আপীল বিভাগেও মৃত্যুদ- বহাল, পরবর্তীতে রায় কার্যকর; জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম (৯০ বছরের কারাদ-) অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (মৃত্যুদ-), আপীলে মুত্যুদ- বহাল, পরবর্তীতে রায় কার্যকর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (মৃত্যুদ-), আপীলে মৃত্যুদ- বহাল, পরবর্তীতে রায় কার্যকর। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীম (আমৃত্যু করাদ-) অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ, বদর বাহিনীর নেতা চৌধুরী মাঈনুদ্দীন এবং মোঃ আশরাফুজ্জামান খান (মৃত্যুদ-), জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (মৃত্যুদ-), জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাশেম আলী (মৃত্যুদ-), বিএনপি নেতা নগরকান্দা পৌর মেয়র জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকার (মৃত্যুদ-), আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোঃ মোবারক হোসেন (মৃত্যুদ-), জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার (মৃত্যুদ-), জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম (মৃত্যুদ-), জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সুবহান (মৃত্যুদ-) ও জাতীয় পার্টির আব্দুল জব্বার (আমৃত্যু কারাদ-)। এছাড়া মাহিদুর রহমান এবং আফসার হোসেন চুটু (আমৃত্যু কারাদ-), হাসান আলী (মৃত্যুদ-), ফোরকান মল্লিক (মৃত্যুদ-), সর্বশেষ কসাই সিরাজকে মৃত্যুদ- ও খান আকরামকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ মামলা ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন-পুরাতন মিলে মোট ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্য নেত্রকোনা জেলার মুসলীম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের মামলাটি প্রায় শেষের দিকে। হবিগঞ্জের দুই সহোদর ও তাদের চাচাত ভাই মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের মামলাও সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। প্রসিকিউশন সূত্রে এ খবর জানা গেছে। অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছেÑ নেত্রকোনার খলিলুর রহমান, শরীয়তপুরের সোলায়মান মোল্লা, ময়মনসিংহের রেজাউল কবির ওরফে আক্কাস মৌলভী, নেত্রকোনার হেদায়েত উল্লা ওরফে আনজু, বাগেরহাটের আকরাম খাঁ, যশোরের এএসএম আমিন উদ্দিন, সাতক্ষীরার মোঃ আঃ খালেক ম-ল, ময়মনসিংহের এম এ হান্নান, মৌলভীবাজারের আলাউদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আকমল আলী, মোঃ মতিন মিয়া, কক্সবাজারের মহসীন হায়দার চৌধুরী, সালামত উল্লা খান পচাঁইয়া রাজাকার, নেত্রকোনার আব্দুল খালেক তালুকদার, আলবদর কমান্ডার শামসুল হক, রাজাকার কমান্ডার নেছার আলী, রাজাকার কমান্ডার ইউনুস মৌলভী, রাজাকার আজিজ, রাজাকার আব্দুল মতিন, রাজাকার আজিজ (হাবলু), মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ফকির, আবু ছালেহ মোঃ আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ, হবিগঞ্জের মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, ময়মনসিংহের আবুল ফালাহ মুহাম্মদ ফাইজুল্লাহ, হবিগঞ্জের লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে হোসেন, গোপালগঞ্জের এনায়েত মোল্লা, পটুয়াখালীর আয়নাল খাঁ, মোঃ আশ্রাব আলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমদাদুল হক ওরফে টাক্কাবালী।
×