ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার এবং চিনি- এ ছয়টি পণ্য পাটজাত মোড়কের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে ৩০ নবেম্বর থেকে সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে ৩০ নবেম্বর থেকে সাঁড়াশি অভিযান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। আর এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ঢাকার মণিপুরি পাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে রবিবার দুপুরে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করনে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার সপ্তম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রচলিত রফতানি পণ্যের পাশাপাশি আইসিটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ, চামড়া ও পাটজাত পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। রফতানি বাজার সম্প্রসারণের জন্য যেসব খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, তার মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য অন্যতম। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আইন মোতাবেক ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার এবং চিনি- এ ছয়টি পণ্য পাটজাত মোড়কের যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা খুবই সময়োপযোগী। সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এ আইন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পাট শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রফতানি অফিসকে এ আইন বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সার কারখানা, চিনিকল ও রিফাইনারি কোম্পানি, চাল-আটা কলসহ সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে পাটজাত পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাটের ব্যবহার বাড়লে দেশের কৃষকরা বেশি করে পাট উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন, দেশ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিগত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে পাট শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের বড় বড় পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সরকার পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরের সহযোগিতা প্রয়োজন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, দেশের পাট সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল খাতের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আইনটির প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৩০ নবেম্বর সপ্তাহব্যাপী সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদনকারী এলাকাসহ ঢাকার প্রবেশমুখ এবং সমগ্র দেশে স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন, নৌপরিবহন, সড়ক পরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ব্যারেব সহযোগিতায় এক সঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। মতবিনিময় সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিভন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ব্যবহার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা আইন অনুযায়ী পাটজাত পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধির পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন।
×