ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নারী-পুরুষে বেতন বৈষম্য মিটতে ১১৮ বছর!

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

নারী-পুরুষে বেতন  বৈষম্য মিটতে  ১১৮ বছর!

এখনও বাকি আরও ১১৮ বছর! তবেই একই বেতনধারী হবেন সারা বিশ্বের নারী ও পুরুষ কর্মীরা। এমন তথ্যই জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) একটি সমীক্ষা। বিশ্বজুড়ে ডব্লিউইএফের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট’এ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আর্থিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা, এই চারটি বিশেষ দিকে নজর দেয়া হয়েছে। যেসব দেশের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে সে দেশগুলোতেও ওই চারটি দিকে নারী-পুরুষে সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে কি না, সমীক্ষায় তাও দেখা হয়েছে। খবর বিবিসির। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে পুরুষদের আয়ের সমান আয় করছেন একবিংশ শতকের মহিলা কর্মীরা। এতে দাবি করা হয়েছে, নারী-পুরুষের এই বেতন-বৈষম্যে মিটবে আগামী ২১৩৩ সালে অর্থাৎ ১১৮ বছর পর। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ কোটি নারী-পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। এক দশক আগেও অবশ্য ছবিটা এমন ছিল না। কিন্তু প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, তখন এ রিপোর্টের বক্তব্য কি যুক্তিযুক্ত? রিপোর্ট জানিয়েছে, এই ফারাকটা দ্রুত তো মিটছেই না, বরং বেতন-বৈষম্য কমার হার হঠাৎই থমকে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেতন-বৈষম্য কম। রিপোর্টে প্রকাশিত তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড, দ্বিতীয় স্থানে নরওয়ে, তৃতীয় স্থানে ফিনল্যান্ড এবং চতুর্থ স্থানে সুইডেন। অন্যদিকে বৈষম্য বেশি ইয়েমেন, পাকিস্তান, সিরিয়ায়।
×