ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

গৌরবোজ্জ্বল সশস্ত্রবাহিনী দিবস ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

গৌরবোজ্জ্বল সশস্ত্রবাহিনী দিবস ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

গত ২১ নবেম্বর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হলো ৪৪তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ও পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অপারেশনের মাধ্যমে এই দিবসের সূচনা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনন্য একটি দিক হলো, এর জন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। এ রকম গৌরবোজ্জ্বল জন্মস্মারক খুব কম দেশের সেনাবাহিনীর আছে। সেনাবাহিনীর অনাগত প্রজন্মের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে গৌরবের এই চেতনা প্রবাহিত হবে। চেতনার চাইতে বড় অস্ত্র আর নেই। এই চেতনাবাহী দিনের তাৎপর্য এবং ৪৪ বছরের মাথায় এসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, সেটি তুলে ধরাই আজকের লেখার মূল উদ্দেশ্য। তবে তার আগে একাত্তরের সঙ্কটময় দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের এই পর্যায়ে সেদিন কিভাবে পৌঁছাল তার একটা বর্ণনা প্রাসঙ্গিকতার জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরছি। প্রথম পর্বের প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে ওঠে প্রধানত পাঁচটি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে ঘিরে, যারা একাত্তরের শুরুতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসে অবস্থান করছিল। তবে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছাড়াও দেশের বিভন্ন জায়গায় বাঙালী পুলিশ ও ইপিআরের (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল, বর্তমান বিজিবি) সদস্যগণ এবং স্থানীয় জনগণ প্রবলভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে, তার মধ্যে কুষ্টিয়া ও পাবনার প্রতিরোধ যুদ্ধ বিশেষভাবে উল্লেখ্য। প্রথম দিকে ১, ২, ৩, ৪ এবং ৮ বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধের সময় নতুন করে ৯, ১০ এবং ১১ বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধ চলাকালে প্রচুর ছাত্র, জনতা, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যোগ দেয়ার ফলে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রতিরোধ যুদ্ধ চলাকালেই একাত্তরের ১০ এপ্রিল কলকাতায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায়, যে জায়গাটি এখন মুজিবনগর নামে পরিচিত। সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ দেয়া হয়। এই ১১টি সেক্টরের সামঞ্জস্য বজায় রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে ছয়টি সেক্টর গঠন করা হয়। এর মধ্যে আলফা ও ব্রাভো নামক সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গের মুরথী ও রায়গঞ্জ। চার্লি সেক্টর বিহারের চাকুলিয়ায়, ডেল্টা সেক্টর ত্রিপুরার ডেউটাস্থরা, ইকো সেক্টর অসমের মাসিমপুর এবং ফক্সটর্ট মেঘালয়ের তুরাতে। ভারতীয় সেক্টরগুলো গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনীর সব ধরনের সহায়তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের হাতে। ২১ নবেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর আনুষ্ঠানিক অভ্যুদয় এবং বাংলাদেশ ভারত যৌথবাহিনী গঠনের পূর্ব পর্যন্ত উপরোক্ত ছয়টি ভারতীয় সেক্টর থেকে মুক্তিবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-সরঞ্জামাদির সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় অপারেশনাল সহায়তা প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আত্মপ্রকাশ করে। যুদ্ধজাহাজ বলতে পদ্মা ও পলাশ নামে দুটি গানবোট দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। তার আগে এপ্রিলের প্রথম দিকে ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত কিছু বাঙালী নেভাল কমান্ডো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে আসে, কমান্ডো প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে। তাদের একটি দল আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কমান্ডো আক্রমণ চালিয়ে বন্দরে নোঙ্গর করা পাকিস্তানী ও কয়েকটি বিদেশী জাহাজের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বাংলাদেশ বিমানবাহনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের নাগাল্যান্ড প্রদেশের ডিমাপুর বিমান ঘাঁটি। দু’টি ফাইটার বিমান ও দু’টি হেলিকপ্টার দিয়ে বিমানবাহিনী অপারেশন শুরু করে। এভাবেই বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী মাতৃভূমি থেকে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে পর্যন্ত বিতাড়নের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। একাত্তরের ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদাভাবে তিন বাহিনীর গঠনের মধ্য দিয়ে একুশে নবেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্রবাহিনীর আত্মপ্রকাশ ছিল চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের অন্যতম একটি মাইলফলক, যাকে সামরিক ভাষায় বলা হয় স্প্রিং বোর্ড টু ভিক্টরি বা দ্রুত বিজয় অর্জনের জাম্পিং প্যাড। যার ফলে ২১ নবেম্বরের পর মাত্র ২৬ দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর প্রায় ৯৩ হাজার দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সুতরাং ২১ নবেম্বরের প্রেক্ষাপট এবং তাৎপর্য বাংলাদেশ এবং বাঙালী জাতির ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল একটি অধ্যায়। মাত্র ৯ মাসের সশস্ত্রযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। সুতরাং প্রায় অসম্ভব এই অর্জনে একাত্তরের ২১ নবেম্বর বা সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনাগতকাল ধরে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, উৎসাহিত করবে। তাই আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে একাত্তরের ২১ নবেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সকলেরই উপলব্ধি করা দরকার। কয়েকটি বিশেষ তাৎপর্যের কথা এখন একেক করে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করছি। এক. ২১ নবেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সর্বাত্মক সহায়তা ও সমর্থনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রথমবারের মতো পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণের সূচনা করে। ওই আক্রমণের সাফল্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে সারাবিশ্বের রাষ্ট্র ও জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয় বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী। দুই. আক্রমণের ব্যাপক সাফল্য ওই সময়ে বিরাজমান চরম অনিশ্চিয়তা ও দুর্দশাগ্রস্ত জাতির জন্য ছিল প্রচ-ভাবে নৈতিক ও মানসিক মনোবল বাড়িয়ে দেয়ার মোক্ষম দাওয়াই, বিশেষ করে তা প্রযোজ্য ছিল যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। তিন. এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমমর্যাদার ভিত্তিতে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনী বা বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনী। তখন বিরাজমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত কর্তৃক এমন সামরিক স্বীকৃতি বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনে প্রবল আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি হয় এবং দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিশ্বাসের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। সঙ্কটময় মুহূর্তে এমন পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। চার. যৌথবাহিনী তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের চতুর্দিকের সীমান্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিক আক্রমণ শুরু করে ডিসেম্বরের তিন তারিখে। কিন্তু একটি পুরো দেশকে শত্রুমুক্ত করার মতো বড় ও ব্যাপক বিস্তৃত অভিযানকে সফল করার জন্য দু’দেশের দুই বাহিনীর সকল স্তরে যে সমন্বয় ও বোঝাপড়ার প্রয়োজন হয় তা সম্ভব হয়েছিল সময়মতো যৌথবাহিনী গঠনের ফলে, আর যৌথবাহিনী গঠন করা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আবির্ভাবের ফলে। এভাবে যাত্রা শুরু হয় একটি স্বাধীন দেশের সশস্ত্রবাহিনীর। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী এখন পেশাগত উৎকর্ষে বিশ্বের যে কোন সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে তুলনীয়। মিসাইল, আধুনিক ট্যাংক এবং গোলন্দাজ বাহিনীর সকল শাখাসহ সেনাবাহিনী এখন সকল উপাদান সহকারে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত ফোর্সেস গোলকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে নিজস্ব বিদ্যাপীঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কাজ করার পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য ঢাকার অদূরে রাজেন্দ্রপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (বিপসট)। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন সারাবিশ্বে সেন্টাব অব এক্সসিলেন্স নামে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশের সেনা সদস্যরা নিয়মিত এখানে আসছে প্রশিক্ষণের জন্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বিশ্বের এক নম্বর দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখন বাংলাদেশকে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য একটি মডেল হিসেবে গণ্য করছে। নৌবাহিনী ইতোমধ্যে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। রয়েছে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ এবং নিজস্ব এ্যাভিয়েশন শাখা। আগামী দুয়েক বছরের মধ্যে নৌ-বাহিনীতে যোগ হবে মর্যাদার প্রতীক সাবমেরিন। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানার শান্তিপূর্ণ সমাধানের মধ্য দিয়ে যে বিশাল সমুদ্র সম্পদের নিরঙ্কুশ অধিকার আমরা পেয়েছি, তার প্রতিরক্ষায় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। বিমানবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক জেনারেশনের যুদ্ধবিমান। আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বিমানবাহিনী এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় নিজেদের পেশাগত উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বহুল আকাক্সিক্ষত হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ধানম-ি লেক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটিও সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পন্ন করা হয়েছে। বনানী-মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডের ওপর ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ রাস্তাকে চার লেনে রূপান্তরের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজে সেনাবাহিনীর অবদান সর্বজনস্বীকৃত। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় অনেক সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা। বান্দরবান-চিম্বুক, চিম্বুক-থানচি, বাঘাইহাট-মাসালং-সাজেক, দীঘিনালা-ছোটমেরুং-চংড়াছড়ি-লংগদুসহ অনেক সড়ক প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সেনাবাহিনী সম্পন্ন করেছে। এই সড়কগুলো নির্মাণের ফলে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য সমতল এলাকায় সহজে বাজারজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। রামুতে দুষ্কৃতকারী কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ বিহারগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেনাবাহিনী নির্মাণ করে দেয়ায় আন্তর্জাতিক ম-লে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী আজ দেশে এবং বিদেশে সমানভাবে প্রশংসিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী আজ সুদক্ষ, সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান। তারা মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা, সশস্ত্রবাহিনী তাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। মননে ও সেবায় সশস্ত্রবাহিনীর সকল সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দর্শন বুকে ধারণ করে যে কোন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। ২১ নবেম্বরের চেতনায় তারা সর্বদা জাগ্রত থাকবে। অনাগতকাল ধরে চলার পথের পাথেয় হবে একাত্তর। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নিরবচ্ছিন্ন শেকড়ের বন্ধন অপরিহার্য। লেখক : ভূরাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×