ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় মনোনয়ন পেতে আগাম দৌড়ঝাঁপ

নওহাটায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতা মাঠে ॥ শঙ্কায় বিএনপি

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

নওহাটায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতা মাঠে ॥ শঙ্কায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের আভাসে নড়েচড়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। এখন থেকে জনসংযোগ শুরু করেছেন অনেকে। এবার দলীয়ভাবে নির্বাচনের খবরে প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আগ্রহ। দলীয় মনোনয়ন পেতে তাই আগাম দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা। উত্তরে এখনও শীতের দেখা মেলেনি। তবে ভোরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে গ্রামাঞ্চল। ভোরের শিশির ভেদ করেই প্রার্থীরা আগাম প্রার্থিতা জানান দিয়ে এরই মধ্যে ধরনা দিতে শুরু করেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। রাজশাহীতে রয়েছে ১৪টি পৌরসভা। এরমধ্যে সীমানা জটিলতার কারণে বাঘা পৌরসভা থাকছে নির্বাচনের বাইরে। বাকি ১৩টি পৌরসভায় এখন ভোটের হাওয়া বিরাজমান। বিভাগীয় শহর রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠে জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার গুরুত্ব বেশি। প্রথমশ্রেণীর এ পৌরসভায় এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের হাফ ডজন নেতা। এদের অনেকেই এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচারণাও করছেন। তবে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপি নেতারা। সম্প্রতি নাশকতার মামলায় সাবেক মেয়রসহ নওহাটা বিএনপির তিন নেতা গ্রেফতার হয়। এ কারণে এখনও এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সরব থাকলেও নিশ্চুপ বিএনপি নেতারা। সোমবার সকালে নওহাটা বাজারে গিয়ে ভোটের হাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে চলছে ভোটের আলোচনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় এখানে নৌকা নিয়ে ভোট করতে চান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মানজাল, নওহাটা পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র আব্দুল গফুর সরকারের ছেলে ফয়সাল আহমেদ রুনু, সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ও কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। এলাকায় প্রচারণাসহ দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলার নেতাদের কাছে তদবির করছেন তারা। অপরদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এ পৌরসভায় এবার নির্বাচন করতে চান সাবেক মেয়র পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ মকবুল হোসেন। সম্প্রতি তিনি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হন। এছাড়া এবার দলীয় মনোনয়ন চান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম। তারাও দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ফলে এ পৌরসভায় ভোটের আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে মনোনয়ন যুদ্ধ। বিএনপির সম্ভাব্য এক প্রার্থী জানান, তারা প্রার্থিতার জানান দিতে শঙ্কায় রয়েছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে তারা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন না।
×