ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় ফিল্মি স্টাইলে বাড়ি দখল

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

কলাপাড়ায় ফিল্মি স্টাইলে বাড়ি দখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ নবেম্বর ॥ আইয়ুব আলী খানের বসতবাড়ির জমি দেয়ালসহ মালামাল তছনছ করে নতুন বাউন্ডারি করে দখল করে নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটার এ বাসিন্দা বাড়িঘর জমিজমা রক্ষায় পুলিশের সহায়তা নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে কুয়াকাটার ইসমাইল খানসহ শতাধিক লোক এ দখল তা-ব চালায়। শনিবার রাত থেকে এ দখল তা-ব চলে। কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ গিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু ততক্ষণে আইয়ুব আলীর সবশেষ হয়ে গেছে। জানা গেছে, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হামলা চালিয়ে বিরোধীয় জমি দখলে নেয় মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। হামলাকারীরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রাখে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বসতভিটার বাউন্ডারি ওয়ালসহ ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র। নতুন বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দখল নেয়া হয়েছে বসতভিটা। আইউব আলী খান জানান, তার পৈত্রিক সম্পত্তি এবং পাশের কেনা জমিতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। একই খতিয়ানের পাশের দাগের মালিক ইসমাইল খানের অংশ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সাড়ে ষোল শতাংশ জমি কিনেন। কেনা জমির সঠিক বুঝ না পেয়ে আইউব আলী খানের সীমানায় তার জমি আছে দাবি করে সীমানা নির্ধারণের জন্য কুয়াকাটা পৌরসভাসহ থানায় কয়েকবার অভিযোগ দাখিল করেন। সাত দফা সীমানা নির্ধারণের জটিলতা শেষে আপোস মীমাংসার পর বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু তারপরও বাবুল তার পুরো জমি বুঝে পেতে জবর দখল করার জন্য প্রাণনাশের হুমকিসহ পাঁয়তারা চালাতে থাকেন। আইউব আলী খান নিরূপায় হয়ে ৯জনকে আসামি করে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। বিবাদীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সব ধরনের স্থাপনা তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু বাবুল এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ইসমাইল খানের সহযোগিতায় দেড় শ’ লোক নিয়ে ফিল্মী স্টাইলে আইউব আলী খানের বসতভিটায় হামলা করে। এ ব্যাপারে মেস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, ইসমাইল খানের কাছ থেকে জমি কেনার পর আইউব খান তার বোনের কাছ থেকে দলিল নিয়েছেন। ফরিদপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৩ নবেম্বর ॥ ফরিদপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে অনিতা মালো (১২) ও সুব্রত মালো (৮) নামে দুই ভাই-বোন। সোমবার সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এই কারণে অসুস্থ তাদের মা রেনু মালো (৫২) বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যালে রয়েছেন। রেনু মালো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত সুকলাল মালোর স্ত্রী। জানা যায়, রবিবার দুপুরে রেনু মালো ও তার সন্তানরা ঘরের দরজা না খোলায় এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী দরজা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে ভাই সুব্রত ও বোন অনিতা সোমবার সকালে মারা যায়। মা রেনু মালোর শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।
×