ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সরকারী সব হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রায় ২ লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সরকারী হাসপাতালে কোন মুক্তিযোদ্ধা রোগী গেলে তার চিকিৎসা প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এমনকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বিনামূল্যে করা হবে। তিনি বলেন, এই প্রসঙ্গে একটি নির্দেশনা আগেও ছিল। কিন্তু এ নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা কম ছিল। মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সকল হাসপাতাল পরিচালককে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তিসহ যে কোন প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। চিকিৎসা প্রদানে তাদের প্রতি কোন প্রকার অবহেলা করা চলবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক জনকণ্ঠকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে সকল সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এবং তা হতে হবে অতি গুরুত্বের সঙ্গে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানে কোন চিকিৎসক বা হাসপাতালকে অবহেলা প্রদর্শন করতে পারবেন না। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সম্মানে সেনাপ্রধানের সংবর্ধনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের পক্ষ থেকে সোমবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ অফিসার্স ক্লাবে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ৩ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৩ জন বীর উত্তম, ৬ জন বীর বিক্রম ও ১১ জন বীর প্রতীক এবং তাঁদের নিকটাত্মীয়দের সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। -আইএসপিআর
×