ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের বিবৃতি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত ॥ মুনতাসীর মামুন

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের বিবৃতি দেশের সার্বভৌমত্বের  প্রতি আঘাত ॥  মুনতাসীর মামুন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, সাকা-মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকরের পর পাকিস্তান ও জাতিসংঘের বিবৃতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি এক ধরনের আঘাত। ইতিহাস সম্মিলনী থেকে আমরা এ বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইতিহাস মনস্ক সব মানুষকে একসঙ্গে সচেতন হয়ে এই সব জঙ্গীবাদ, মৌলবাদের পক্ষে যে বিবৃতি দেয়া হচ্ছে তা প্রতিহত করতে হবে। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখী ইতিহাস চর্চার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর তৃতীয় বার্ষিক সম্মিলন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে সম্প্রতি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বিবৃতি দেয়। এ নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশিদ। ইতিহাস সম্মিলনীর তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে মামুন সিদ্দিকী ও আহমেদ শরীফ সম্পাদিত স্থানীয় ইতিহাস প্রবন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্থাপত্য, ভাস্কর্য থেকে শুরু করে লোক-সাহিত্য এসব বিষয়ের প্রতি বিভিন্ন গবেষক মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করে তাদের প্রবন্ধের বিষয় বস্তু তুলে ধরেছেন। ইতিহাস চর্চার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মনে করিয়ে দেবে কে? আমরা সবাই তো এর ফল ভোগ করছি। আজকে যারা শিক্ষক-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-আমলা হয়েছেন, তা তো দেশ স্বাধীন হওয়ার বদৌলতেই হয়েছেন। দেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। বাংলা ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর -রশিদ বলেন, ইতিহাস হচ্ছে সমাজের মুখচ্ছবি। ইতিহাস শুধু জ্ঞানের শাখা নয় বরং জ্ঞানের বহু শাখার তথ্যভা-ার। মানুষ, সামাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতœতত্ত্ব, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তাদের জীবন সংগ্রাম সবই ইতিহাসের উপজীব্য। ইতিহাস দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আন্দেলনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখীনতার একটি দেশ তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি। ইতিহাস দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আন্দোলনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখীনতার একটি দেশ তৈরি করার আহ্বানও জানান তিনি।
×