নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৭ নবেম্বর ॥ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে গমন ও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে শিশু ও নারীসহ ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভারত সীমান্তবর্তী কেরানীনগর এলাকা থেকে বিজিবি তাদের আটক করে সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে। আটককৃতরা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তের কেরানীনগর এলাকা দিয়ে একদল বিদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এমন খবর পেয়ে গোলাবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাদের কাছে কোন পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় ১৮ পুরুষ, সাত নারী ও দুই শিশুকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা কোটবাড়ির ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুরের বাসিন্দা বলে জানায়। তাদের মধ্যে ২০ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে। তারা হচ্ছেন- শান্ত রায় (২৮), বরুণ চন্দ্র দে (৩৭), সুমন পাল (৩০), সুজিত পাল (৩৫), জয়গোপাল সরকার (৩৬), ভবতোষ পাল (৪৯), প্রদীপ দাস (৪৬), শাহীনুর রহমান (২৬), রকিবুল ইসলাম শান্ত (২৮), নূরে এলাহী (২৭), রামু পাল সরকার (৫০), খেলাবালী পাল (৪৫), উজালা (৪৮), সহদেব পাল (৯), পারুল পাল (২৯), পদ্ম রানী সরকার (৩০), প্রাঞ্জল সরকার (৬), অমল পাল (৩৮), সুজন মিয়া (২৭), রতন কঙ্কর (২৮) বিষ্ণু সরকার (৪৫)। অপর সাতজন হলেন- জামালপুরের জুয়েল মিয়া (৪২), বিশ্বজিৎ পাল (২৮) ও নেত্রকোনার নিরঞ্জন পাল (৬৩), পারুল পাল (৫০), মায়া রানী সরকার (৪৫) ও মুকুল রায় (৩৪)। তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করাসহ কেন বা কীভাবে তারা পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা পুলিশকে জানায়, তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা মিলন সংঘ দয়াময় আশ্রমে বাৎসরিক উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য কুমিল্লার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত ২৩ নবেম্বর পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া দালালের মাধ্যমে ভারতে যায়। উৎসব শেষে শুক্রবার সীমান্ত পথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করেছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবদুর রব জানান, পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে আটককৃতদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এদের সঙ্গে থাকা দুই শিশুকে তাদের স্বজনের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।