ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে প্রার্থী নিয়ে বড় দুই দলেই কোন্দল

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

যশোরে প্রার্থী নিয়ে  বড় দুই দলেই  কোন্দল

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ কপোতাক্ষ নদের পাড় ঘেঁষে পৌরসভা চৌগাছা। আধা গ্রাম, আধা শহর এই নিয়ে নগর। গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী মাঠে নেমে পড়েছে। মেয়র এবং কাউন্সিলার প্রার্থীরা গণসংযোগ করছে। তফসিল ঘোষণার আগে চৌগাছায় পোস্টার ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছিল। তবে এখন তা তুলে ফেলা হচ্ছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছে। সর্বশেষ কোন দল থেকে কে মেয়র প্রার্থী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে বিগত বিএনপি সরকারের আমলে বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ারকে পৌর প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয় এবং পৌর সভার কার্যক্রম শুরু হয়। এবার ৩য় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল ও বিরোধের কারণে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা এস এম সাইফুর রহমান বাবুল ও দেওয়ান তৌহিদুর রহমান। যদিও ওই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছিল এসএম সাইফুর রহমান বাবুলকে। ফলে ওই নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়। মেয়র নির্বাচিত হন সেলিম রেজা আওলিয়ার। এবার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের ৬ জন গণসংযোগ করছে। এরা হলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুর রহমান বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতি দেওয়ান তৌহিদুর রহমান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, বিএনপি থেকে পৌর বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার ও উপজেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন এবং জামায়াত থেকে পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি পৌর প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন। বিএনপির সেলিম রেজা আওলিয়ার ২০০৪ সালে চৌগাছা পৌরসভা গঠনের পর দু’বছর পৌর প্রশাসক থাকার পর দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তিনি দলের দুর্দিনে কারও পাশে দাঁড়াননি।
×