ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চকরিয়ায় চিংড়িজোনের জমি বেহাত

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

চকরিয়ায় চিংড়িজোনের জমি বেহাত

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ায় আইনী মারপ্যাঁচে ৪৫ বছর ধরে বেহাত রয়েছে রামপুর ও বদরখালী মৌজার চিংড়িজোনের প্রায় ২৫ হাজার একর জমি। ধারাবাহিকভাবে মামলা পরিচালনা করেও প্রভাবশালী মহলের অপতৎপরতার কারণে এসব জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন উপজেলার রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির প্রায় ১০ হাজার ভূমিহীন সদস্য। ইতোপূর্বে সমিতির ভুক্তভোগী সভ্যরা তাদের এসব সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেয়ার মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে ফেরত দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছে। এরপরও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলের ধীরে চলো নীতির কারণে ভুক্তভোগী রামপুর ভূমিহীন সমিতির সভ্যরা চিংড়িজোনের ওই জমির মালিকানা নিয়ে চরম উদ্বেগ ও আশঙ্কায় রয়েছেন। রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি আক্কাস আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, চকরিয়া রামপুর ও বদরখালী মৌজার চিংড়িজোনের ২৫ হাজার একর জায়গার মালিকানার সপক্ষে ১৯৭৯ সালের তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা সাবজজ আদালতে রামপুর সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই সময় আদালত সমিতির বিপক্ষে রায় দিলে পরবর্তীতে ২০১২ সালে ওই মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন সমিতির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, এরপর তাদের মামলার বিরুদ্ধে মৎস্য অধিদফতর একটি উচ্ছেদ মামলা রুজু করে। তবে আদালত শুনানি শেষে মৎস্য অধিফতরের ওই মামলাটিতে সমিতির পক্ষে স্থগিতাদেশ বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন। এরপরও জমির মালিকানায় যেতে পারছে না ভুক্তভোগীরা। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, চিংড়িজোনের এসব জমি সিএস খতিয়ান মূলে সমিতি প্রকৃত দাবিদার। কিন্তু প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনের যোগসাজশে আইনী মারপ্যাঁচের কারণে গত ৪৫ বছর ধরে এসব জমি মৎস্য অধিদফতরের অধীনে রয়ে গেছে এখনও।
×