ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নায়ক যখন স্যাম বিলিংস

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

নায়ক যখন স্যাম বিলিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ড দলে বদলের হাওয়াটা লাগে সেই বিশ্বকাপের আগে। যখন এ্যালিস্টার কুককে সরিয়ে ইয়ন মরগানকে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়। বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ায় ইংলিশদের নিয়ে তখন ছি ছি রব পড়ে যায়। নিন্দুকেরা বলছিলেন, চট করে এত বদল ভাল নয়। সেই ইংল্যান্ডই এখন দুর্বার। প্রথমে এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার (টেস্ট), ঘরের মাটিতে ওয়ানডেতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুমুল ফাইট (২-৩)। আমিরাতের ‘বাদশা’ বলে খ্যাত পাকিস্তানের কাছে টেস্ট সিরিজ হারলেও ৩-১এ ওয়ানডে জিতে নেয়া। প্রতিটি পর্যায়ে ইংল্যান্ডকে ওড়াচ্ছেন তরুণরা। সেই ধার অব্যাহত থাকল প্রথম টি২০তেও। ১৪ রানের চিত্তাকর্ষক জয়ে মরগান-মঈন আলিদের ম্লান করে ‘নায়ক’ স্যাম বিলিংস। এ যে বদলে যাওয়া এক ইংল্যান্ড। দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ইংল্যান্ড এক পর্যায়ে ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। একে একে সাজঘরে তিন তারকা জো বার্নস, এ্যালেক্স হেলস আর মঈন আলি। এরপরই অভিষিক্ত জেমস ভিঞ্চকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মরগান। চতুর্থ উইকেটে ১০.১ ওভারে মহামূল্যবান ৭৬ রান যোগ করেন দু’জনে। ৪১ রান করে ভিঞ্চ ফেরার সময় ১৫তম ওভারে ৯৫ রান করে অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে ইংলিশরা। কিন্ত স্কোরটা যে ১৬০Ñএর চ্যালেঞ্জিং অবস্থানে পৌঁছে যাবেÑ সেটি হয়ত অনেকেই ভাবেননি। এখানেই বিলিংস ঝলক। অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ২৪ বছর বয়সী কেন্টের প্রতিভাবান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৬ ওভারে প্রায়-অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রান যোগ করেন বিলিংস-মরগান! যেখানে মরগানের অবদান ১২। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। পাকিস্তানী বোলারদের চোখের জল নাগের জলে একাকার করে ছাড়েন বিলিংস। উইলোতে ঝড় তোলেন তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে রানআউটের খাড়ায় পড়েন দুরন্ত বিলিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন পেসার সোহেল তানভির। আধুনিক টি২০তে ১৬০ রান চেজ করা কঠিন নয়। কিন্তু নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটিকে দুরূহ করে তোলে পাকিরা। ২৫ রানে তৃতীয়, ৪২ রানে চতুর্থ আর ৭৪ রানেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে কার্যত গর্তে ঢুকে পড়ে শহীদ আফ্রিদির দল। সর্বোচ্চ ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন নয় নম্বরে নামা সোহেল তানভির। ২৪, ২১ ও ২০ রান করে ফেরেন যথাক্রমে মোহাম্মদ রিজোয়ান, ওয়াহাব রিয়াজ ও আনোয়ার আলি। টপ-অর্ডারে মোহাম্মদ হাফিজ (৭), সরফরাজ আহমেদের (১) মতো ব্যাটসম্যান পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যর্থ অধিনায়ক আফ্রিদিও (০)। প্রতিপক্ষকে ১৪৬Ñএ গুটিয়ে দিতে ইংল্যান্ডের হয়ে চমৎকার বোলিং করেন লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট (৩/২১), রেস টপলি (৩/২৪) ও স্টিফেন পেরি (২/৩৩)।
×