ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মক্তব থেকে ভেসে আসত শিশুদের কলতান

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

মক্তব থেকে ভেসে আসত শিশুদের কলতান

একটা সময় ছিল যখন শিশুদের ‘হাতেখড়ি’ বা শিক্ষার প্রথমপাঠ দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মক্তব কিংবা পাঠশালা। গ্রাম-পাড়ার এসব প্রতিষ্ঠানেই মিলেছে শিক্ষার প্রথমপাঠ। যাকে হাতেখড়ি বলে-এমন অ আ ক খ আর ছন্দময় কবিতা ছড়া শেখানো হতো। বাংলার পাশাপাশি আরবি শিক্ষাও দেয়া হতো এসব পাঠশালা বা মক্তবে। প-িত মশাই প্রতিদিন সকালে এ প্রতিষ্ঠানে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তবে এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মক্তব আর পাঠশালার ধারণা বদলে গেছে। খুব ভোরে এখন আর বই হাতে ছোট ছোট শিশুদের যেতে দেখা যায় না মক্তবে। কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন শিশুদের শিক্ষায় হাতেখড়ি দেয়া হয় বাড়ির ভেতরে শিক্ষক রেখে। প্রতিযোগিতার যুগে এখন উধাও শিশু শিক্ষার প্রথম স্তর সেই মক্তব কিংবা পাঠশালা। শহরের চেয়ে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় এসব পাঠশালা দেখা গেছে বেশি। শিক্ষা জীবন শুরুর প্রথম ধাপে প-িত মশাইয়ের বেতের আঘাত বাড়িয়ে দিত শিক্ষার গতি। হালে এসব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এরকম একটি পাঠশালা। স্থানীয় একদল যুবকের চেষ্টায় গড়ে ওঠা এ মক্তবে খুব সকালে পাঠদান দেয়া হয়। এখন ওই মক্তবে ‘হাতেখড়ি’ নিচ্ছে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শিশু। সাধারণ আরবি ও বাংলার ধারণা দেয়া হচ্ছে এ মক্তবে। এ পাঠশালার নাম ‘মাঞ্জারি ইসলাম’। এটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন আসাদ। গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পাঠশালা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, একটা সময় ছিল যখন পাঠশালা বা মক্তবেই মিলত শিক্ষার প্রথম পাঠ। তবে সে ধারণা এখন অতীত। নিজেদের ইচ্ছায় মহল্লার শিশুদের নিয়ে এ পাঠশালা চালু করা হয়েছে। এখন এখানে দুইজন মৌলভী রেখে শিশুদের আরবির পাশাপাশি বাংলা বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হচ্ছে। এতে শিশুরা ছোট থেকেই আদব-কায়দা রপ্ত করতে পারছে। মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া কক্ষে মক্তব গড়ে উঠেছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ থেকে মক্তবে পাঠদান শুরু হয়েছে। জেলার পবা উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। চাকরিজীবী। তিনি জানান, তাদের গ্রামে এখনও মক্তব চালু আছে। পারিবারিকভাবে এসব মক্তব চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে মক্তবে লেথাপড়ার হাতেখড়ি এখানে এখনও বাধ্যতামূলক। Ñমামুন-অর-রশিদ রাজশাহী থেকে
×