ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণকারীর আত্মহত্যা

না’গঞ্জে অপহৃত শিশু মুন্সীগঞ্জে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

না’গঞ্জে অপহৃত শিশু মুন্সীগঞ্জে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্র্টার, মুন্সীগঞ্জ, নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ ॥ না’গঞ্জের সোনারগাঁ থেকে অপহরণের ৪০ ঘণ্টা পর অপহৃত জিসানকে (৩) মুন্সীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারী রাসেল (২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। জিসানের পরিবারকে উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুরের প্রতাপনগর গ্রামের মুল্লুক মিয়ার শিশুপুত্র জিসানকে (৩) বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বাড়ির সামনে খেলা করার সময় রাসেল তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত জিসানের চাচা সাদ্দামের মোবাইল ফোনে তার মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এমনকি টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নাম্বারও দেয়। এ ঘটনায় জিসানের বাবা মুল্লুক মিয়া বাদী হয়ে রাসেলকে আসামি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর রাসেল শিশু জিসানকে নিয়ে প্রথমে তার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে এবং পরে মুন্সীগঞ্জের বাঘরা গ্রামে তার আত্মীয় বাড়িতে যায়। আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক ফজলকে জানালে বাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকলের অগোচরে রাত পৌনে আটটার দিকে রাসেল গলায় ফাঁস দেয়। তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে শ্রীনগর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একই সঙ্গে অপহৃত জিসানকে তার ফুপু নুরুজা বেগমের কাছে রাত পৌনে নয়টার দিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁও থানার এসআই নূর হোসেন জানান, শিশু জিসানকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রীনগর থানার ওসি মোঃ সাহিদুর রহমান রাত সাড়ে দশটায় জানান, এই আত্মহত্যার ঘটনায় রাসেলের বাবা আলমগীর হোসেন শ্রীনগর থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে। তিনি জানান, জিসানের পিতার সঙ্গে রাসেল রং মিস্ত্রির কাজ করত। রংয়ের ঠিকাদারি কাজ করতে গিয়ে রাসেল মল্লিক মিয়ার কাছে ১৬ হাজার ৪০ টাকা পাওনা হয়। এই বিরোধ নিয়ে রাসেল শিশুটিকে অপহরণ করে। তবে রাসেলের পিতা আলমগীর বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটিকে ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়। শিশুটির পরিবারকে খবর দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়ে বাঘরা আসে। রাসেলের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুটিকে ফেরত দেয়া হলেও আমার রাসেলকে আর ফেরত নিতে পারলাম না। তার বোকামির কারণে সব শেষ হয়ে গেল। জিসানের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাজলাপাড়া গ্রামে।
×