ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেয়র আনিসুল হকের নেতৃত্বে অভিযান

তুলকালাম উচ্ছেদ নিয়ে ॥ অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

তুলকালাম উচ্ছেদ নিয়ে ॥ অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ট্রাকশ্রমিকদের সংঘর্ষে তিন শ্রমিক ও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে একজন শ্রমিক নিহত ও কয়েকজন শ্রমিক আহত হওয়ার গুজবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মেয়রের প্রটোকলের একটি গাড়ি ও একটি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। শ্রমিকরা সাতরাস্তা থেকে কাওরানবাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তার উপর কয়েকটি কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক রেখে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এরপর আরও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে ওই সড়কটিতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার দুপুর ১টায় সিটি কর্পোরেশনের পূর্বঘোষিত ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে এ বাধার মুখে পড়ে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল ইসলাম মেহেদির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে সহায়তা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামূল হক, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ডিএনসিসির চীফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার হোসেন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান শরীফ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বিপন কুমার সাহাসহ সকল উর্ধতন কর্মকর্তা। সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হকের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে। ট্রাকস্ট্যান্ড স্থাপনের পর দীর্ঘদিনের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তেজগাঁওয়ের এই ট্রাকস্ট্যান্ডের আশপাশের রাস্তার উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে বিএনপি আমলের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমূল হুদা ৪ দফা সময় দিয়েও অবৈধ স্থাপনা সরাতে পারেননি। এরপর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বন্ধ থাকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরানোর কার্যক্রম। সরেজমিন দেখা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ২৭ নবেম্বরের পর তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ডের পাশের অবৈধ স্থাপনা সরাতে কয়েকটি বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ অভিযান পরিচালনায় বাংলাদেশ ট্রাক মালিক এ্যাসোসিয়েশন, তেজগাঁওয়ের স্থানীয় কাউন্সিলর, ট্রাক ড্রাইভারস এ্যাসোসিয়েশন নেতারাও সহযোগিতা করেন। এছাড়া স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ওয়ার্ড কমিটির নেতারা এ উচ্ছেদ অভিযানে মেয়রের পাশে থেকে সমর্থন জানান। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা সরাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আন্দোলনরতদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এছাড়া কোন শ্রমিক নেতাকে এ আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। এমনকি শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতারা বারবার মেয়রের কাছে বলতে থাকেন যে, আমাদের কোন নেতা এ আন্দোলন করছেন না। যারা আন্দোলন করছেন তারা কমবয়সী ছেলে। তারা কোন পরিবহনের সঙ্গে জড়িত নন। আমরা মেয়রের উচ্ছেদের সঙ্গে একমত। জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের দেয়া সময়ের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ট্রাক মালিক ও শ্রমিক নেতারা নিয়মিত অবৈধ স্থাপনা সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত ট্রাকস্ট্যান্ডের ভেতরের প্রায় ৮০ ভাগ অবৈধ স্থাপনা তারা নিজেরাই সরাতে সক্ষম হয়। বাকি ২০ ভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নামে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। দুপুর ১টার কিছুক্ষণ পর থেকেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কাজ করা হয়। উচ্ছেদ কাজের শেষপর্যায়ে একটি স্থাপনা ভেঙ্গে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা ফেরার পথে পেছন থেকে শ্রমিকরা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢিল ছুড়ে মারে, যা অপর এক শ্রমিকের ঘাড়ে পড়লে তিনি রক্তাক্ত হয়ে যান। অন্য শ্রমিকরা আহত এই শ্রমিককে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেয়ার প্রাক্কালে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এরপর শ্রমিকরা দায়িত্বরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে শুরু হয় সংঘর্ষ। থেমে থেমে প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিক নিহতের গুজবে শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কোন কথা না শুনলে মেয়র নিজেও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তাড়া করেন। এরপর মেয়র আনিসুল হক ট্রাক ড্রাইভারস এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি ২ ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করেন ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। বর্তমানের ট্রাকস্ট্যান্ডটি রেলওয়ের প্রায় ৩৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বিধায় উচ্ছেদের সময় ঘটনাস্থলে মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকও উপস্থিত ছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী আসার পরই শ্রমিকরা সংঘর্ষ শুরু করে। সংঘর্ষ চলাকালে রেলমন্ত্রী ট্রাক ড্রাইভারস সমিতির কার্যালয়ে কিছু সময় অবস্থান করে পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। ট্রাকশ্রমিকদের অভিযোগÑ জসিম উদ্দিন (৪০), বদরুদ্দোজা (৫৫), মাসুদ (২৫) নামে তাদের তিনজন সহকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে জসিম উদ্দীন গুরুতর আহত বলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। শ্রমিকরা জানান, তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হাসপাতালে এদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয় হয়। এদিকে ঢিলের আঘাতে আহত একটি অনলাইন আলোকচিত্রী তানভীর আহমেদকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার ক্যামেরাও ভেঙ্গে গেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ঘটনাস্থলে সরাসরি সম্প্রচারে থাকা কয়েকটি টেলিভিশনের সংবাদকর্মীদের দিকেও ঢিল ছুড়তে দেখা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সাতরাস্তা এলাকায় সড়কের ওপর অবৈধভাবে রাখা ট্রাক ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চলার সময় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত। তবে বেলা ৩টার পরও শ্রমিকদের ওই রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ডাইভারস ইউনিয়নের অফিসে অবস্থানকালীন মেয়র আনিসুল হক উপস্থিত সাংবাদিক ও পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বলেন, সবকিছুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। স্থানীয় লোকজন চায় এ অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড সরানো হোক। এর মাধ্যমে এ রুটটিতে ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করা হবে। ট্রাক মালিকরা ট্রাক রাখার জন্য খোলা জায়গা চেয়েছেন। তার ব্যবস্থা করার চিন্তা রয়েছে। তবে আমরা চলাচলের রাস্তা খালি করতে চাই। বাইরে রাস্তায় কিছু লোক হইচই করলে তাদের অবৈধ দাবি কি মানতে হবেÑ এর কোন কারণ নেই। শহরের মানুষ যাতে নির্বিঘেœ চলতে পারে সেই কাজ করছি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেউ উত্তেজিত করলেন আর আমি আমার লোক নিয়ে দৌড়ে চলে গেলাম; না এটা হবে না। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের জানান, সমস্যা কিছুই হয়নি। কেউ একজন ইটাইটি করেছে। যেটা হচ্ছে এটা অনভিপ্রেত। মেয়র জানান, ওই এলাকার ট্রাক মালিক, কাউন্সিলরসহ সবাই তার সঙ্গে আছেন। নির্দেশনা মেনে অনেকেই ট্রাক সরিয়ে নিয়েছেন। যারা সরায়নি তাদের বিরুদ্ধেই এ অভিযান। আইন আইনের মতো চলবে ভাই। আপনি কী এমন হয়ে গেলেন যে সবাই সরিয়ে নেয়ার পরও আপনি আপনার ভাঙ্গা ট্রাক সরাবেন না? মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন পুরনো ট্রাক রেখে ও অবৈধভাবে স্ট্যান্ড দখলে রাখাদের দুই মাস সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা স্ট্যান্ড খালি তো করেইনি বরং বরাবরের মতো রাস্তা দখল করে জনগণের চলাচলের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। পরে গত ৮ নবেম্বর ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওই সড়কে অভিযানে যায় সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিন কয়েকটি টিনশেড দোকান ভাঙ্গার পর অবৈধ স্থাপনা ও রাস্তা থেকে ট্রাক সরাতে ২৭ নবেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। ওই নির্দেশনা পালন করা হবে বলেই সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাক ও কভার্ডভ্যান ড্রাইভারস ইউনিয়নের নেতা মোহাম্মদ মাসুমুল হক এবং বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান এ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ রুস্তম আলী খান। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের জানান, আমরা যে কোন মূল্যে ট্রাকস্ট্যান্ড খালি করে রাস্তা উন্মুক্ত করতে চাই। মেয়র বলেন, এ অবৈধ ট্রার্ক টার্মিনালে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা অবৈধ আয় হয়। এদিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর সময় ঘটনাস্থলে মেয়র আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, তেজগাঁওয়ের এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান সাধারণ মানুষের জন্য। এটা মেয়রের (আনিসুল) একার সমস্যা নয়, এটা সবার সমস্যা। তাই সবাই সহযোগিতা করুন। বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভারস ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক রুস্তুম আলী জানান, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের ভেতরে ৩৯ বিঘা জমি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখা হয়েছে। আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পুরনো ট্রাকগুলো সেখান থেকে সরিয়ে রাস্তার উপর রাখা ট্রাকগুলোকে ভেতরে জায়গা করে দেব। সে অনুযায়ী আজ সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু বহিরাগত কিছু লোকের উস্কানির কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। সেখানে তিনজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন। তারা ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখানে কোন শ্রমিক সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। বিষয়টি না জেনে কিছু লোকের উস্কানিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‌্যাব-২ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ, তেজগাঁও জোনের পুলিশের ডিসি বিপ্লব সরকার বিপুলসংখ্যক র‌্যাব সদস্য ও পুলিশ সদস্য নিয়ে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি শান্ত করতে পরিবহন শ্রমিক নেতারা আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বললে ও শ্রমিক মৃত্যুর বিষয়টি বুঝিয়ে বললে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কিছুটা শান্ত হন। পরে মেয়র আনিসুল হক বাইরে এসে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় আর নাগরিকদের সরাসরি ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমি নাগরিকদের সুবিধার্থে এ ট্রাকস্ট্যান্ডসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমি বাইরের কেউ নই। আমি আপনাদেরই লোক। গুজবে কান দেবেন না। আজকে কোন শ্রমিক মারা যায়নি। যিনি আহত হয়েছিলেন তিনি চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া তেজগাঁওয়ে একটি আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আর কোনক্রমেই এ এলাকাসহ রাস্তার উপর কোন ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ কোন যানবাহন রাখতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে রাস্তাকে খালি করা হবে। নাগরিকদের সুবিধার্থেই তা করব। নতুন কোন স্থাপনা করলে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই তা করা হবে। এ সময় শ্রমিকরা মেয়রের কথায় খুশি হয়ে হাততালি দেয়। এরপর মেয়র ডিএনসিসি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঘটনাস্থলে আসা ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ফার্মগেটের দিকে হেঁটে চলে যান। তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
×