শীতের আগমন বার্তা ইতোমধ্যেই আমাদের গ্রামীণ জনপদ পেতে শুরু করেছে। কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে জেলা শহরগুলোয়। অতি শীঘ্রই শহরেও শীতের বুড়ি বীর দর্পণে হানা দেবে। যার ফলে অনেকেই এ আবহাওয়া উপযোগী পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সংগ্রহ করা শুরু করছে। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র শীতের জন্য প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ও ব্যবহার্য পণ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে শীতের বস্ত্র ও সামগ্রী নতুন সংগ্রহের পূর্বে আগের বছরের শীতের পোশাক এবং অধিক ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী এখনই বের করে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শীতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সারা বছর যতœ করে তুলে রাখা হয়। পুনরায় ব্যবহারের আগে তাই ভালো করে রোদে দেয়া জরুরী। না হলে ছত্রাক, ধুলাবালি কিংবা ভ্যাপসা গন্ধ থেকে যাবে। ব্যবহারের আগে লেপ, কম্বল বা মোটা কাঁথা বের করে কড়া রোদে দিতে হবে। রোদ থেকে তোলার পর ভাল করে ধুলাবালি ঝেড়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। অবশ্য কম্বল খুব কড়া রোদে দেয়া উচিত নয়। এতে রং জ্বলে যেতে পারে। লেপের কভার ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর লেপে জড়াতে হবে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন তুলে রাখা পোশাকগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এখনই। হালকা শীতে পরার পোশাকসহ টুকিটাকি জিনিসগুলো যেমন হাতমোজা, টুপি গুছিয়ে প্রস্তুত রাখতে হবে। সোয়েটার, শাল শুকাতে সময় লাগে বেশি। তাই রোদেলা দিন দেখে তবেই এগুলো ধৌত করতে হবে। ব্লেজার, কোট ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে হালকা রোদে শুকিয়ে নেয়া উচিত। তবে উলের পোশাকে কখনও ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। উলের জামাকাপড় কড়া রোদে দেয়াও ঠিক নয়। শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার সময় আলতোভাবে রাখতে হবে। পোশাক পরিষ্কার করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছোটদের শীতের পোশাক পরিষ্কার করে স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে তারপর কড়া রোদে শুকাতে হবে। বাজারে বাহারী শীতের পোশাক আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকলে কিনে নিতে হবে এখনই। অথবা পুরনো পোশাকগুলোর ছোটখাটো ত্রুটি মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। ভারি কাপড়ের পর্দা হিমেল বাতাস থেকে রক্ষা করবে আপনার রুমকে। তাই জানালা-দরজায় নেট বা পাতলা কাপড়ের পর্দা থাকলে বদলে নিন। তবে দিনের বেলা মোটাপর্দা গুটিয়ে রাখা উচিত। না হলে ঘরে রোদ প্রবেশ করতে পারবে না। জানালার কাচ ভাঙা থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। শতরঞ্জি বা কার্পেট কিনে বিছিয়ে দেয়া উচিত মেঝেতে। এতে মেঝে থেকে ঠা-া কম আসবে। তবে শীতকালে কার্পেটে ধুলা জমে বেশি। তাই কার্পেটের বদলে ফ্লোরম্যাট ব্যবহার করা যায়। বেশি শীতে ভারি কাপড় ধোওয়া সমস্যা। তাই জমিয়ে রাখা ময়লা বিছানার চাদর, জানালা-দরজার পর্দা ইত্যাদি এখনই ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও অনেকেই শীতের আবহাওয়ায় আরাম পাওয়ার জন্য ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবহার করেন। যার মধ্যে হিটার, ফায়ার প্লেস ইত্যাদি। তাই এসব সামগ্রী ভালভাবে দেখে নিতে হবে। যেন শীতের সময় কোন প্রকার সমস্যায় ভুগতে না হয়।
ছবি : সালেক বিন তাহের
মডেল : সজিব ও আঁখি
কৃতজ্ঞতা : স্মার্টেক্স
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: