ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকশী রেলওয়ে অফিস সংলগ্ন জমিতে অবৈধ চার শতাধিক বসতবাড়ি

প্রকাশিত: ০০:০৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

পাকশী রেলওয়ে অফিস সংলগ্ন জমিতে অবৈধ চার শতাধিক বসতবাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগের রেলওয়ে সম্পদ অবৈধ ভাবে দখল ও ব্যবহারের করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষকে। রেলওয়ে জমি, স্টাফ কোয়াটার ও বিদ্যুৎ অবৈধ ভাবে ব্যবহারের কারনে প্রতি বছরই রাজস্ব আদায়ের পরিমান কমছে। অবৈধ দখলদাররা কোটি কোটি টাকা আয় করলেও সরকার বজ্ঞিত হচ্ছে রাজস্ব প্রাপ্তিতে। সাথে যোগ হয়েছে এসব জায়গায় বসবাসকারীদের নানা রকমের বেআইনী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রবনতা। বৃদ্ধি পেয়েছে হত্যা, গুম, লুটপাট, মাদক ও অস্ত্রের ব্যবহার। সম্প্রতিক সময়ে ঈশ্বরদীর সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ড হিসেবে এএসআই সুজাউল ইসলামকে হত্যা ও প্রকাশ্যে এক যুবকের হাত কেটে নেওয়ার মতো ঘটনাটিও ঘটেছে এ অঞ্চলে। পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস ও ইপিজেডসহ নানা কারনে ঈশ্বরদীর অন্যসব ইউনিয়ন থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ন পাকশী ইউনিয়ন। এখানে পাকশী পেপার মিল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ নানা গুরুত্বপূর্ন স্থাপনাও রয়েছে। পাকশীতে রেলওয়ের বিদ্যুৎ অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা বাণিজ্য করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ বিভাগের দু’তিনজন কর্মচারি এসব কাজে জড়িত থাকায় রেলওয়ে প্রতি বছর বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। পাকশী পেপার মিলের প্রধান হিসাব রক্ষন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাকশী পেপার মিলের মোট জমির পরিমান ১’শ ৮৮ একর । নিজস্ব রয়েছে ১’শ ৩৩ দশমিক ৫৪ একর। কলোনী রয়েছে ৪০ দশমিক শুন্য এক একর। কারখানাসহ অন্যান্য ৯৩ দশমিক ৫৯ একর। রেলওয়ে থেকে পেপার মিলের নামে লিজ নেওয়া ৫৪ দশমিক ৮৭ এক। এর কিছু অংশ দখল করে খাচ্ছে দখলদাররা। এসব জমি উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যে মিল কর্তৃপক্ষ একাধিক পত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করেছেন। জমি উদ্ধার করে ইজারা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
×