ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে ঝুপড়ি ঘরে চলছে ক্লাস

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

বাউফলে ঝুপড়ি ঘরে চলছে ক্লাস

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩০ নবেম্বর ॥ শিক্ষক আছে, আছে শিক্ষার্থীও। কেবল স্কুল ভবন নেই। একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে চলছে ক্লাস। এমন একটি স্কুলের নাম হচ্ছে পূর্ব কপূরকাঠি সরকারী প্রাইমারী স্কুল। বাউফলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৮৩ সালে স্থানীয় বিদ্যানুরাগী আব্দুল মজিদ সিকদার এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। অঞ্চলে একটি দোচালা টিনের ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে চলছে ক্লাস। পাঠদানের জন্য ঝুপড়ি ঘরটির মধ্যে পর্যাপ্ত বেঞ্চ না থাকায় একই বেঞ্চে চার পাঁচজন শিক্ষার্থীদের ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। শিক্ষকদের বসার জন্য নেই কোন লাইব্রেরী রুম। শিক্ষার্থীদের মতো তারাও বেঞ্চে বসেন। বর্তমানে স্কুলটিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ৪ শিক্ষক রয়েছে। বরং বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়রা তাদের ছেলেদের শিক্ষাদানের স্বার্থে স্কুলটি মেরামত করেন। ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি স্কুলটি সরকারী গেজেটভুক্ত হলেও এ স্কুলটির অবকাঠামোর কোন উন্নতি হয়নি। ওই স্কুলের শিক্ষক ইসরাত জাহান জানান, স্কুলের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষক বাড়ি নিয়ে যান। আবার বাড়ি থেকে স্কুলে আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। জরাজীর্ণ এই ঝুপড়ি ঘরের স্কুলটির ছবি তোলার সময় ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাসুমা বেগম বলেন, ‘স্যার আমাগো স্কুলডা কি আপনেরা ঠিক কইর‌্যা দেবেন। টিন লাগাইয়া দেবেন। বৃষ্টি আইলে আমাগো বইখাতা ভিজ্জা যায়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা একই কথা বলেন। এখানে একটি পাকা স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য অভিভাবকসহ স্থানীয়রা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মৈত্রী ট্রেনে ঈশ্বরদী থেকে যাত্রী ওঠানামার দাবি স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে উত্তরাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে মৈত্রী ট্রেনে ভ্রমণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী সংখ্যা আশানুরুপ হওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ২০০৮ সালে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠা নামার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পরে দু’দেশের রেলওয়ের ডিআরএম পর্যায়ের একাধিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে ইমিগ্রেশনসহ নানা সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আলোচনায় স্থান পায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠা নামার ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে রেলের রাজস্ব আয়ও কম হচ্ছে। রেলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র মতে, ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনে যাত্রী ওঠা নামার ব্যবস্থা করা হলে প্রতিদিন ৩শ’রও বেশি যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রেনটিতে শুধু ঢাকা থেকে যাত্রী ওঠা নামার ব্যবস্থা থাকায় একদিকে যেমন উত্তরাঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে রেল কর্তৃপক্ষও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের শতশত যাত্রীদের এ ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে গত ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ঈশ্বরদীর নাগরিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রণালয় বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। ভৈরবে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ৩০ নবেম্বর ॥ সোমবার দুপুরে ভৈরবের কমলপুরে বিএনপির শরীফুল আলম গ্রুপ ও গিয়াস সমর্থক বিএনপির অপর গ্রুপে দফায় দফায় সংর্ঘষ হয়। এ সময় আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইট-পাথরের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফুল আলম তার ডাকবাংলোতে এলে বিএনপির অপর গ্রুপ শরীফুল আলমকে ভৈরব ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। এতে দুই গ্রুপই সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। শরীফুল আলমের সমর্থকদের দাবি কারাভোগের পর শরীফুল আলম ভৈরবের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌর নির্বাচনের আলোচনা করছিলেন।
×